নার্সিংহোমে নার্সের দেহ উদ্ধারের পর এবার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ায় শনিবার রাতে এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। মৃতের নাম রাহুল ঝা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের পাশাপাশি চলে ভাঙচুরও। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শরীরে ৯৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বয়ানে সন্দেহ করা যাবে না, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল ঝা দীর্ঘদিন ধরে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করতেন। পরিবার সূত্রে খবর, শনিবার সেন্টার বন্ধ হওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়। পরে সেন্টারের ভেতর একটি ঘরে তাঁর দেহ দেখতে পান কর্মীরা। সেখান থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে ভিড় জমে যায়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, রাহুলকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে চাপে রাখা হচ্ছিল। তাঁদের দাবি, সেন্টারের মালিক, যিনি পেশায় চিকিৎসক এবং তাঁর স্ত্রী নানা অজুহাতে রাহুলকে অপমান ও হেনস্থা করতেন। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি ঘটার পর থেকেই এই চাপ আরও বাড়ে বলে অভিযোগ। রাহুলের বাবার কথায়, ‘এটা আত্মহত্যা নাকি খুন, আমরা জানি না। তবে স্পষ্টতই ষড়যন্ত্র রয়েছে। আমরা চাই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।’
স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বাড়ে এই অভিযোগ ঘিরে। তাঁরা সেন্টারের মালিকের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। ক্ষুব্ধ জনতা রাতেই সেন্টারে ভাঙচুর চালায়। পরে বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরা হলেও, অভিযোগের ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ঘটনার সমস্ত দিক। তদন্তকারীরা মালিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিবারের আনা অভিযোগ সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছে। পুরনো ও সুপরিচিত ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভেতরে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশ নিয়ে।