চুঁচুড়া–ব্যান্ডেল পর্যন্ত মেট্রো রুটের ছাড়পত্র রয়েছে। সংসদে প্রশ্ন করে এমন উত্তর পেয়েছেন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চান দিদি নম্বর ওয়ান। আজ, সোমবার হুগলিবাসীকে এমনই আশা দেখালেন হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এলাকার উন্নয়ন নিয়ে হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর সেখানেই মেট্রোর সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পরে এই বিষয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন রচনা।
মেট্রো যদি একবার চুঁচুড়া–ব্যান্ডেল পর্যন্ত নিয়ে আসা যায় তাহলে এক ঢিলে অনেক পাখি মারা সম্ভব হবে। এক, হুগলির বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে দ্রুত যুক্ত করা যাবে। দুই, লোকাল ট্রেনে চাপ কমবে। তিন, সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চার, রাজ্য জমি দিয়ে কেন্দ্রকে সাহায্য করলে যৌথ উদ্যোগ প্রমাণিত হবে। পাঁচ, বিরোধীরা চাপে পড়বে। আজ জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদ বলেন, ‘মেট্রো যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি তাতে মানুষের অনেক উপকার হবে। এই নিয়ে চিঠি চালাচালি চলছে। তবে এটা কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এই নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। জেলাশাসকও বলেছেন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে মানুষ বিরাট উপকার হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ইস্যুতে নিষ্ক্রিয় সিপিএম, জেলা সম্মেলনে আরজি কর কাণ্ডতে সক্রিয় নেতারা
এই কাজ যাতে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে একটি চিঠি লিখেছেন বলে জানান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এই বিষয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘রেলমন্ত্রী চিঠির জবাব দিয়েছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন কী ভাবে বিষয়টি এগোনো যায় সেটা তিনি দেখছেন। সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর রয়েছে, হাওড়া রয়েছে। হাওড়ায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। সকলের সঙ্গে মিলিতভাবে এই কাজ করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব। কেন্দ্রের হাতে যেটুকু রয়েছে সেটুকু নিয়ে যদি তারা দয়াশীল হন তাহলে মানুষের উপকার করতে পারি।’