একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেটে ফসল ঘরে তুলেছেন। তখন থেকেই আইএসএফের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ লেগে আছে। সেখানে এমন খুনের হুমকি বেশ চাঞ্চল্যের। কারণ একদিন আগেই সইফুদ্দিন মোল্লা খুন হয়েছেন। তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিধায়ক শওকত মোল্লা। নিজস্ব ছবি
এবার খুনের হুমকি পেলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। তাই তিনি এখন প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে খুনের হুমকি দেওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সদ্য জয়নগরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হয়েছেন। তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। গোটা এলাকা এখন থমথমে। তার মধ্যেই এবার ক্যানিং পূর্বের বিধায়ককে খুনের হুমকি দেওয়ায় বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। অভিযোগ, আজ যখন বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ে আসছিলেন, তখন তাঁকে টেলিফোন করে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।
কে বিধায়ককে খুনের হুমকি দিয়েছে? এই খুনের হুমকি কে বা কারা দিয়েছে সেটা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এই খুনের হুমকি পেয়ে বিধায়ক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন বলে জানিয়েছেন। বিধায়ক শওকত মোল্লা এখন ভাঙড়ে জনপ্রিয় মুখ। একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেটে ফসল ঘরে তুলেছেন। তখন থেকেই আইএসএফের সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ লেগে আছে। সেখানে এমন খুনের হুমকি বেশ চাঞ্চল্যের। কারণ একদিন আগেই সইফুদ্দিন মোল্লা খুন হয়েছেন। তিনিও তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই খুনের হুমকি যে নম্বর থেকে এসেছে সেটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সেটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। শওকত–আরাবুল কেমিস্ট্রি এখন দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে শক্ত ভিত তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে শওকত মোল্লার দায়িত্ব বড়। সাংসদ আসনগুলি জিততে হবে। তাই তিনি রোজ সভা–সমিতি করে চলেছেন এলাকার নানা রাস্তায়। তাতে মানুষের বিপুল সমর্থন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী ঘোষণা করেছেন, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তার পরই এমন হুমকি ফোন সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
হুমকি ফোনের নেপথ্য কি আইএসএফ? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও মেলেনি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা খুনের ঘটনায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা তোপ দেগে বলেন, ‘আমাদের জয়নগরের বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে বিজেপি এবং সিপিএম আশ্রিত সমাজবিরোধীরা গুলি করে খুন করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বিরোধী দলগুলির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। আর তাই এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীদের একের পর এক খুন করছে।’