বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দিনহাটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই দিনহাটার ধাপড়াহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ ঘটেছিল। আর সেই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ঘনিষ্ঠ একাধিক তৃণমূল নেতা–সহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। এমনকী ইতিমধ্যেই চারজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। এই নিয়ে এখন দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের নীচুতলার নেতা–কর্মীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার রাতে দিনহাটার ধাপড়াহাটে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা–২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি তথা সুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিষ্ণু কুমার সরকার, পঞ্চায়েত সদস্য বিনোদবিহারী বর্মণ, দীপক সেন, মান্নান আলি, জাইদুল হক, কপিল হোসেন, হাকিম আলি–সহ ৩০ জন নেতা–কর্মী। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের মধ্যে রয়েছেন দীপক সেন, কপিল হোসেন, মান্নান হোসেন বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী ঘটেছিল দিনহাটায়? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে দিনহাটা–২ ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাপড়াহাট এলাকায় দলের দুই গোষ্ঠী প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিষ্ণু কুমার সরকার এবং বর্তমান ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্যের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। তাতে তিন পঞ্চায়েত সদস্য এনামুল হক, এরশাদ আলি এবং বিনোদবিহারী বর্মণ–সহ বেশ কয়েকজন জখম হন। দু’পক্ষের চারজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ঘটনার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। রাতেই পুলিশ চারজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে। এমনকী ঘটনাস্থল থেকে চারটি বোমা–সহ পাঁচটি প্লাস্টিকের ভাঙা চেয়ার, লোহার রড, কাঠের বাটাম, বাঁশের লাঠি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ঘটনায় ধাপড়াহাটে যান দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি দলের নেতা–কমীদের সতর্ক করেন।