মঙ্গলবার এখানে অনুব্রত মণ্ডল আসতেই খাবার টেবিলের সামনের চেয়ারে বসেছিলেন গেঞ্জি পরা এক যুবক। আর অনুব্রতের ঠিক পাশে বসেছিলেন সবুজ পাঞ্জাবি পরা এক যুবক। ওই যুবকই দোকানের বিল মেটান। অনুব্রতের পাতে চারটে কচুরি থাকলেও তিনি তিনটে খান। আর একটি কচুরি সবুজ পাঞ্জাবি পরা যুবককের পাতে তুলে দেন।
অনুব্রত মণ্ডলের ব্রেকফাস্ট টেবিলে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি
শক্তিগড়ে অনুব্রত মণ্ডলের ব্রেকফাস্ট টেবিলে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা কথা হয়। কাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি? এই প্রশ্নই এখন বড় আকারে চর্চা হচ্ছে। অনুব্রতর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসাররা ছিলেন অন্য টেবিলে। আগে থেকেই মিষ্টির দোকানে ছিলেন ওই তিন ব্যক্তি বলে সূত্রের খবর। রাখী পূর্ণিমার দিন গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর দোল পূর্ণিমার দিন দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে শক্তিগড়ে ল্যাংচা বিখ্যাত। ভোজনরসিক অনুব্রত মণ্ডল সেখানে পেটপুরে খেলেন জলখাবার। লুচি, ছোলার ডাল, তরকারি, মিষ্টি খান তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে টেবিলে ছিলেন আরও তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলতে দেখা যায় কেষ্টকে। এদের তিনি আগে থেকেই চেনেন বলে বোঝা যায়। তবে মুখ ভার ছিল নেতার। সেই মেজাজ ছিল না চেহারায়। মুখ বেজার করে রেখেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।