প্রায় ১০ দিন পর কর্মবিরতি উঠল আলিপুরদুয়ারের কালচিনি চা বাগানের শ্রমিকদের। ইদের আগে বকেয়া মজুরি মেটানোর দাবিতে কর্মবিরতি করছিলেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ সেই বকেয়া মিটিয়ে দিতেই কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। এরফলে আবারও কালচিনি চা বাগানের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে খুলে গেল মহুয়া চা–বাগান, রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে মিলল সমাধান
শ্রমিকদের বক্তব্য, তাঁরা ইদে পরিবারের সকলের জন্য নতুন জামা কাপড় কেনার পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু, মালিকপক্ষ বকেয়া না মেটানোয় তাঁরা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। তাই তাঁরা বকেয়া মজুরি মেটানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। গত ১৯ মার্চ থেকে বকেয়া মেটানোর দাবিতে কর্ম বিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা। তার আগে বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিকরা গেট মিটিং করেন। বকেয়া মজুরি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে রাজ্যের শ্রম দফতর। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দাবি মেনে গত ১৮ মার্চ আলিপুরদুয়ারে ডেপুটি শ্রম কমিশনারের দফতরে শ্রমিক এবং মালিকপক্ষকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে মালিকপক্ষ বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হওয়ায় শ্রমিকরা ১৯ মার্চ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। ফলে চা বাগান খোলা থাকলেও কর্মবিরতির জেরে স্বাভাবিক ছিল না কাজকর্ম। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চা বাগানের সমস্ত শ্রমিককে বকেয়া মিটিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। বকেয়া হাতে পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে শুক্রবার থেকেই কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা।
বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ায় খুশি সিটুর আলিপুরদুয়ারের জেলা সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মাহালি। তবে একইসঙ্গে পরবর্তী ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি যাতে সঠিক সময়ে মিটিয়ে দেওয়া হয় মালিক পক্ষের কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ওমদাস লোহরা জানান, সময়মতো মজুরি না পেলে শ্রমিকদের খুব সমস্যা হয়। সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই যাতে সঠিক সময়ে নিয়মিত মজুরি দেওয়া হয় সেই দাবি মালিকপক্ষের কাছে করা হবে বলে তিনি জানান। মজুরি পাওয়ায় শ্রমিকরা এখন সন্তুষ্ট। জানা গিয়েছে, মালিকপক্ষ মজুরি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বুধবার থেকে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সব শ্রমিকের বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হয়।