তন্ত্র সাধনার নামে বন্ধুকে খুনের অভিযোগ সাধুবাবার বিরুদ্ধে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানা এলাকার খেতুড়িয়া গ্রামের। নিহত যুবকের নাম জিৎ দানা (২০)। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বন্ধু তথা সাধক মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - বাংলায় তৃণমূল শরিয়া আদালত চালাচ্ছে, চোপড়ার ঘটনায় দাবি BJP নেতা অমিত মালব্যের
পড়তে থাকুন - স্কুলের নবীনবরণে ছাত্রদের জয় শ্রী রাম বলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ TMC নেতা শিক্ষকের বিরুদ্ধে
নিহতের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, খেতুড়িয়া গ্রামের পাশে ফাঁকা মাঠে একটি ডাকাত কালীর থান রয়েছে। সেখানে প্রতি সোম, মঙ্গল ও শনিবার যেতেন জিৎ। গত শনিবার রাতে মাকে জানিয়ে ডাকাত কালীর থানে যান তিনি। জিতের বন্ধু মিলন ওই থানের পূজারি। বন্ধু ফোনে ডেকে পাঠানোয় দ্রুত বেরিয়ে পড়ে সে। রাত পোহালেও বাড়ি ফেরেননি জিৎ। পরিবারের লোকেরা খোঁজা শুরু করলে জানতে পারেন, গ্রামের পাশেই দোয়েলপুরের মাঠে পড়ে রয়েছে তাঁর নগ্ন দেহ।
খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা। দেহ উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। এর পর বন্ধু মিলনকে চেপে ধরেন তাঁরা। চাপের মুখে অপরাধ স্বীকার করে মিলন। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন - উনি 'বুলডোজার মাতা' হয়ে উঠেছেন, কাকে একথা বললেন সুকান্ত মজুমদার?
তবে জিতকে সে কেন খুন করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের লোকেদের দাবি, তন্ত্র সাধনার জন্যই খুন করা হয়েছে জিতকে। তার পর টানতে টানতে তার দেহ মাঠে ফেলে রেখে গিয়েছে মিলন। যুবকের দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। তবে পুলিশ তন্ত্র সাধনার তত্ত্ব মেনে নিচ্ছে না। তদন্তকারীরা মনে করছেন অন্য কোনও আক্রোশ থেকে খুন করা হয়েছে মিলনকে। নইলে দেহে এত আঘাতের চিহ্ন থাকত না। সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।