ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরপাক খেয়ে উপরে উঠতে দেখা গেল ধুলোর ‘মেঘ’কে। যদিও সেটা ক্ষণস্থায়ী। অতিরিক্ত গরমের ফলেই এই ধরনের ঘূর্ণিপাক বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকার মানুষ বেশ কিছুটা আতঙ্কিত। পার্শ্ববর্তী হুগলি নদী থেকেই তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সিটি সেন্টারের বুকে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শিল্পশহর হলদিয়ায় টর্নেডোর দেখা মিলল।
রাজ্যজুড়ে তাপপ্রবাহের মধ্যেই শিল্পশহর হলদিয়ায় টর্নেডোর দেখা মিলল। সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডের কাছে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। কারণ তীব্র গরমে এখন মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেখানে আজ, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হলদিয়া সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ডের কাছে প্রায় ১৫–২০ মিনিট ধরে দেখা যায় টর্নেডো। কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাপমাত্রা দীর্ঘ কয়েক বছরের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। কখনও ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আবার কখনও ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেখানে হঠাৎ ঘূর্ণিপাক দেখে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিকে টর্নেডোর সাক্ষী রইল হলদিয়া শিল্পাঞ্চল। ধূলো ঝড় দেখা দেওয়ায় আতঙ্ক ছড়াল মানুষের মধ্যে। হলদিয়ার সিটি সেন্টার মোড়ের চৌরাস্তায় তা অনেকেই দেখে ছবি তুলতে থাকেন মোবাইলে। বাংলার বেশিরভাগ জেলায় রবিবার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাপপ্রবাহের সঙ্গে বইছে লু। এই গরমের জেরেই আগামীকাল সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে তীব্র দাবদাহে বাংলার জনজীবন জেরবার হয়ে উঠেছে। তার মধ্যেই হলদিয়ার রাস্তায় হঠাৎ দেখা মিলল ‘টর্নেডো’র। ঘূর্ণিঝড়ের মতো ঘুরপাক খেয়ে উপরে উঠতে দেখা গেল ধুলোর ‘মেঘ’কে। যদিও সেটা ক্ষণস্থায়ী। অতিরিক্ত গরমের ফলেই এই ধরনের ঘূর্ণিপাক বলে দাবি স্থানীয়দের। এলাকার মানুষ বেশ কিছুটা আতঙ্কিত। পার্শ্ববর্তী হুগলি নদী থেকেই তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে সিটি সেন্টারের বুকে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।