ব্যবসায়ী আব্বাসের সঙ্গে বিবাদ চলছিল স্থানীয় এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তিকে ৬৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল আব্বাসের। সেই টাকা জোগাড় করে নিজের কাছে রেখেছিলেন ব্যবসায়ী। বাড়ি ফেরার সময় হামলা করা হয় আব্বাসের উপর। ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানা এলাকায়।
আক্রান্ত ব্যবসায়ী
আবার শুটআউটের ঘটনায় আলোড়ন ছড়াল নাকাশিপাড়ায় এবং ইসলামপুরে। এদিন দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যবসায়ী।তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এমনকী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে ৬০ হাজার টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় তারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার বেশি রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালিগঞ্জ থানার সাবজুলা হাইস্কুল এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছে নাকাশিপাড়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিগঞ্জ থানার সীতাই চন্দ্রপুর এলাকার ব্যবসায়ী আব্বাস মল্লিক। এলাকার সাবজুলা হাইস্কুলের কাছে তাঁর একটি দোকান আছে। এদিন বেশি রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কয়েকজন দুষ্কৃতী তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাঁর পায়ে এসে গুলি লাগে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে এখন সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর টাকা লুঠ করতেই গুলি চালানো হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ও লুকিয়ে থাকা তিন দুষ্কৃতী গুলি চালায়। তবে একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেছে পুলিশ। বাকিরা চম্পট দিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে ইসলামপুরে? এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার গুঞ্জরিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকায়। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম মহম্মদ শাকির। তাঁর কানে গুলি লেগেছে। তড়িঘড়ি তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে আনা হয়। যদিও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে কী কারণে এই গুলি চালানো হয়েছে তা নিয়ে ছড়িয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিশ।