এবার পুজোয় একটু অফবিট জায়গা খুঁজছেন? দার্জিলিং থেকে কাছেই চটকপুরের কথা ভাবতেই পারেন। জঙ্গলে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম। সোনাদার উপরেই এই পাহাড়ি গ্রাম।দার্জিলিংয়ে দুদিন কাটিয়ে একটা গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে আসুন চটকপুর। রাস্তার দুধারে পাইনের সারি। কুয়াশার সবদিক আচ্ছন্ন। একেবারে মায়াবী পরিবেশ। সেই পথ ধরে এগোতে থাকবে আপনাদের গাড়ি।৭৮৮৭ ফুট উচ্চতায় ছবির মতো সুন্দরী গ্রাম চটকপুর।সোনাদা থেকে চটকপুরের দূরত্ব মাত্র ৭ কিমি।
কয়েক বছর আগেও এই চটকপুরে পর্যটকদের পা পড়ত না। গাছ মাফিয়াদের উৎপাত লেগেই থাকত। পাহাড়ের মূল্যবান গাছ কেটে চোরাপথে বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু সেসব আজ অতীত।বর্তমানে চটকপুরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র। ইকো ট্যুরিজম। শান্ত, সুন্দর, নিরিবিলি গ্রাম। পূর্ব হিমালয়ের শৃঙ্গ দেখা যায় এখান থেকেই। বরফের মুকুট পরে সারি সারি পাহাড়।
পর্যটকদের জন্য সরকারি কটেজও রয়েছে এখানে। স্থানীয় ফরেস্ট প্রটেকশন কমিটির লোকজন এগুলি দেখভাল করেন।তেমনই একটি কটেজে রাত্রিবাস করতে পারেন। হোমস্টেও গড়ে উঠেছে ইদানিং। সবুজে মোড়া গোটা গ্রাম।ইদানিং চটকপুরে প্রচুর ভেষজ বাগান তৈরি হয়েছে। ঘুরে দেখতে পারেন সেই ভেষজ বাগান।
তবে চটকপুরে বেড়াতে এলে একটা বিষয়ে একটু সতর্ক থাকবেন। জঙ্গলের রাস্তা ধরে একলা যাওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। মাঝেমধ্যেই বন্য জন্তুর আানাগোনা থাকে এই রাস্তায়। ভাল্লুক, লেপার্ডের দেখাও মিলতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধান।