পাসপোর্ট জালিয়াতির তদন্তে এবার গ্রেফতার হলেন ট্রাফিক পুলিশের অস্থায়ী হোমগার্ড। ইমরান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে চন্দননগর কমিশনারেটের ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে আসল বলে ভেরিফাই করানোর ব্যবস্থা করত বলে জানা গিয়েছে। ওদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতিকাণ্ডে বিভিন্ন থানার অস্থায়ী কর্মীদের কার্যকলাপ তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার চক্রের তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার মোহন শাহ, বিশ্বজিৎ ঘোষ ও ইমরান নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ইমরান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের অস্থায়ী হোমগার্ড। ধৃতরা মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথিকে আসল নথি বলে ভেরিফাই করার ব্যবস্থা করাত বলে জানা গিয়েছে। একই আধার কার্ড ব্যবহার করে একাধিক নথি ভেরিফিকেশনের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
ওদিকে সরষের মধ্যে ভূত খুঁজতে এবার কলকাতা ও লাগোয়া এলাকার বিভিন্ন থানায় অস্থায়ী কর্মীদের কার্যকলাপ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বহু থানাতেই পাসপোর্টের জন্য নথি পরীক্ষা করার কাজ SI বা ASIরা করতেন না। তার বদলে সেই কাজ করতেন অস্থায়ী কর্মীরা। স্থায়ী পুলিশকর্মীরা সই করে দিতেন মাত্র। সেই সুযোগে ভুয়ো নথি দেখিয়ে বহু পাসপোর্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশিরা ভারতীয় পাসপোর্ট পেয়ে গেলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়ানক। সেই পাসপোর্ট দেখিয়ে যখন খুশি বিশ্বের যে কোনও দেশে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে চলে যেতে পারবে তারা। ভারতীয় পাসপোর্টধারী হিসাবে অন্য দেশে গিয়ে সেখানে কোনও নাশকতা করলে তার দায় বর্তাবে ভারতের ওপর।