কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিচিত একজন। কিন্তু, সেখানে নিয়ে গিয়ে কাজ তো দেওয়াই হয়নি উল্টে তাঁকে আটকে রেখে ভয় দেখিয়ে কিডনি বিক্রি করে দিতে বাধ্য করা হল। বারুইপুরে এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগকারীর নাম শামসুদ্দিন লস্কর। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা। এই ঘটনায় কিডনি পাচার চক্রে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীকেও পুলিশ আটক করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, তদন্তের স্বার্থেই অভিযোগকারীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরুর লাথিতে চোখ নষ্টের পরেই সুদের কারবার শুরু, কিডনি বিক্রির ভয়ঙ্কর কৌশল শীতলের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিডনি বিক্রি করে দেওয়া নিয়ে আগে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি থানায়। শুক্রবার দুপুরে বারুইপুরের বিডিও অফিসের সামনে দুই ব্যক্তি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ এসে দুজনকেই আটক করে নিয়ে যায়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কিডনি পাচার চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। এই দুজনের মধ্যে রয়েছেন অভিযোগকারীও। পুলিশ জানিয়েছে, শামসুদ্দিন বারুইপুর থানার হিমচি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি দাবি করেছেন, হুগলির বাসিন্দা শুভ ভট্টাচার্য তাঁকে উত্তরপ্রদেশে একটি হাসপাতালে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেইমতো শুভর সঙ্গে মাসতিনেক আগে উত্তর প্রদেশ গিয়েছিলেন শামসুদ্দিন। কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পর তিনি কাজ পাননি।
অভিযোগ, একটি হোটেলের ঘরে তাঁকে আটকে রাখা হয়। সেখানেই তাঁকে মারধর করার পাশাপাশি মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এরপরে ভয় দেখিয়ে তাঁর একটি কিডনি বের করে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শামসুদ্দিন দাবি করেছেন, উত্তরপ্রদেশের একটি হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। এই বাবদ তাঁকে ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল শুভ। প্রথমে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাকি টাকা বাড়িতে পৌঁছে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু, শামসুদ্দিন বাড়ি ফিরে এলেও তিনি আর কোনও টাকা পাননি বলে অভিযোগ।