কোচবিহারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী থেকে জেলা তৃণমূল সভাপতির। কোচবিহারের কোতোয়ালি ও ঘোকসাডাঙা থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে মোট ৪১ জনের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন; উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, ভাঙা হল শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ির কাচ
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে। নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঘোকসাডাঙা-খাগড়াবাড়ি এলাকায় পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ, ঠিক দুপুর ১২টা নাগাদ খাগড়াবাড়ি চৌপথিতে তাঁর কনভয় পৌঁছাতেই জমায়েত থেকে ওঠে চোর স্লোগান। একসঙ্গে প্রদর্শিত হয় কালো পতাকা ও তৃণমূলের দলীয় পতাকা। শুভেন্দুর গাড়ির দিকে ছোড়া হয় ইট। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো নিজেই সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি। শুভেন্দু দাবি করেন, এটি নিছক বিক্ষোভ নয়, এ এক সুপরিকল্পিত খুনের চক্রান্ত। তাঁর কথায়, বুলেটপ্রুফ গাড়ি না হলে হয়তো তাঁর প্রাণহানি ঘটত। রাজ্য পুলিশ এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি রাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বলে জানান।
এরপরেই তাঁর আইনজীবীর পক্ষ থেকে ইমেল মারফত অভিযোগ জমা পড়ে কোচবিহার কোতোয়ালি ও ঘোকসাডাঙা থানায়, সেই সঙ্গে পুলিশ সুপারের দফতরেও। অভিযোগপত্রে নাম উঠে আসে রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সহ আরও বহু জনের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উদয়ন। তাঁর কটাক্ষ, এমন অনেকের নাম আছে, যারা গত সাত দিন কোচবিহারেই ছিলেন না।