তিনি শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ। সেচ দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেই প্রতারণার অভিযোগে তিনি এখন শ্রীঘরে। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরা। যিনি এখন স্বেচ্ছামৃত্যু চান। মঙ্গলবার রাখাল বেরাকে কাঁথি আদালতে তোলে পুলিশ। তখনই তিনি বিচারককে দেখে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক।’ যদিও তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক।বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার বিরুদ্ধে। এমনকী কলকাতার মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর। জেলাতেও একই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুভেন্দু অধিকারীর কলকাতার ফ্ল্যাটের দেখভাল করতেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এছাড়া বড়বাজারে তাঁর ব্যবসাও রয়েছে।এদিন আদালত কক্ষে চিৎকার করে রাখাল বেরা ওই আবেদন করলেও লিখিতভাবে তা জানাননি। তাই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেয়নি আদালত। এই বিষয়ে রাখালের আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘এই ধরনের আবেদন আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। তবে রাখালকে যেভাবে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাতে সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি এমন কথা বলেছেন।’উল্লেখ্য, কাঁথি থানায় রাখালের নামে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেই মামলাই আদালতে দায়ের হয়েছে। এদিনের শুনানিতে চারদিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। তার উপর চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার দুটি মামলা চলছে। তবে রাখালের এমন দাবিতে ঘটনায় আজ ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আাদালতে।