প্রচন্ড গরম পড়েছে। সামনেই গরমের ছুটি। অনেকেই পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে এবার পাহাড়ে এক সঙ্গে এই তিন জায়গায় বেড়িয়ে আসতে পারেন। এতে পয়সা আর সময় দুটোই বাঁচবে। সেক্ষেত্রে আপনি দাওয়াইপানি, চটকপুর আর লেপচাজগতের কথা ভাবতে পারেন। গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন। তিনটি জায়গার মধ্যে দূরত্ব খুব বেশি নয়। মোটের উপর ভালোই লাগবে। আর তিনটি জায়গাতেই পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন।প্রথমদিন চলে যেতে পারেন দাওয়াইপানি। দার্জিলিং থেকে ২২ কিমি দূরত্রে এই গ্রাম।জোড়বাংলো পর্যন্ত বাসে এসে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন দাওয়াইপানি। ফুলে মোড়া গ্রাম। হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘা।একাধিক হোমস্টে রয়েছে। এখান থেকে তিনচুলে, তাকদা, লামাহাটা, রঙ্গারুনেও ঘুরে আসেন অনেকে।দ্বিতীয় দিন আপনি চটকপুরে আসতে পারেন। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার দৃশ্য জীবনে ভুলবেন না।৭৮৮৭ ফুট উচ্চতায় রয়েছে চটকপুর। দার্জিলিংকেও টপকে দিয়েছে চটকপুর। তবে ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জঙ্গলে প্রবেশ নিষেধ। সেক্ষেত্রে সময় বুঝেই আসতে পারেন। গাইড নিয়ে একাধিক ট্রেকিং রুটে ঘুরে আসতে পারেন। তবে গাইড ছাড়া জঙ্গলের পাহাড়ি পথে না যাওয়াটাই ভালো।তৃতীয় দিন চলে আসতে পারেন চটকপুর থেকে লেপচাজগৎ। তবে হাতে সময় থাকলে আর পাহাড়ি পথে হাঁটতে চাইলে চটকপুর থেকে সোনাদা অনেকে হেঁটেই চলে আসেন। অপূর্ব পাহাড়ি রাস্তা। ৭ কিমি দূরত্ব। তবে পাহাড়ি পথে হাঁটতে কষ্ট হলে, অথবা সঙ্গে বয়স্ক, শিশু বা লাগেজ বেশি থাকলে ঝুঁকি না নেওয়াই ভালো। তবে সোনাদা থেকে ঘুম আর তারপর ঘুম থেকে লেপচাজগৎ শেয়ার গাড়িতে চলে আসতে পারেন। কম টাকায় হয়ে যাবে। তবে রাস্তা না জানলে বা পাহাড়ি পথে হাঁফিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে ঝুঁকি নেবেন না।লেপচাজগত অপূর্ব সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। ইদানিং বড্ড বেশি ভিড়ও হচ্ছে। তবে এখানে এলে ফুল দেখতে ভুলবেন না। চারদিকে ঘন জঙ্গল। তার মধ্যে পায়ে চলা পথ। ৬৯৫৬ ফুট উচ্চতায় এই লেপচাজগৎ।এখানে ফরেস্ট বাংলো রয়েছে। আগে থেকে বুক করে রাখতে পারবেন। তবে আপনারা প্রয়োজনে গোটা রুটটা ঘুরিয়েও দিতে পারেন। মানে প্রথমে লেপচাজগতে এসে সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে অপর দুটি জায়গায় বেড়াতে পারেন। তবে পরিবার নিয়ে এলে আগে থেকে বুক করে আসবেন। না হলে সমস্যা হতে পারে।