করোনা অতিমারি শুরু হওয়ার আগে ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন শ্রমিকের কাজে। কিন্তু, তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি পরিযায়ী শ্রমিক। বিভিন্ন জায়গায় হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমন অবস্থায় যুবককে খুঁজে দিল সোশ্যাল মিডিয়ার একটি রিলস ভিডিয়ো। ঘটনাটি মালদার মানিকচকের। ফেসবুকের একটি রিলস ভিডিয়োয় ওই যুবককে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা। তার ভিত্তিতে যুবককে ফিরে পেতে মানিকচক থানার পুলিশের দ্বারস্ত হয়েছে পরিবার। (আরও পড়ুন: রক্তাক্ত কোয়েটা, মাহরাংকে ‘অপহরণ’, বালোচিস্তানে 'বাংলাদেশের ভুল' পাকিস্তানের?)
আরও পড়ুন: ‘এক বছরে হুগলি জেলায় ৮০০ নাবালিকা নিখোঁজ’, তথ্য জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যের
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সুলতান খান। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে। মানিকচক থানার নূরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মপাড়ার বাসিন্দা তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুলতান। তা সত্ত্বেও ওই বছর মহারাষ্ট্রে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখানে কাজে যাওয়ার তিন মাস পরেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়ে যায় করোনা অতিমারী। সেই সময় দেশব্যাপী চলে লকডাউন। তবে লকডাউন চলাকালীন অন্যান্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসলেও বাড়ি আসেননি সুলতান। (আরও পড়ুন: বিজ্ঞাপন দিয়ে টেন্ডার প্রত্যাহার, মেট্রোতে নিয়োগ হবে না বেসরকারি অপারেটর)
আরও পড়ুন: লাদাখে নতুন ২ কাউন্টি তৈরি চিনের, জবাবে কী করছে ভারত? সংসদে যা বলল সরকার…
তাঁর সঙ্গে ফোনে বা অন্য কোন মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। কার্যত সুলতানকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান পরিবারের সদস্যরা। থানাতেও নিখোঁজ ডায়েরি করেন। কিন্তু, কোনওভাবেই সুলতানের খোঁজ মেলেনি। বেশ কয়েক বছর ধরে খোঁজাখুঁজির পর সুলতানকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন হয়তো তিনি মারা গিয়েছেন। ফলে একসময় তাঁরা সুলতানের খোঁজ প্রায় বন্ধই করে দিয়েছিলেন। এভাবেই কেটে যায় ছ’টা বছর। আর কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রিলস নতুন করে সুলতানের বেঁচে থাকা নিয়ে আশার বার্তা নিয়ে আসে পরিবারের কাছে।
আরও পড়ুন: এবার ইউনুসের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ' মাহফুজ আলমের? বাংলাদেশি উপদেষ্টা বললেন...
জানা গিয়েছে , ৪-৫ দিন আগে ফেসবুকে একটি রিলস ভিডিয়োয় সুলতানকে দেখা যায়। ভিডিয়ো অনুযায়ী, তিনি ট্রেনে বসে আছেন মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায়। আর একজন সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে মুড়ি খেতে দিচ্ছেন। ভিডিয়ো দেখার পরেই কার্যত চমকে যান পরিবারের সদস্যরা। এবার ভিডিয়োর সূত্র ধরে সুলতানকে উদ্ধারে দাবি জানিয়েছেন তাঁর দিদি আউসার বিবি। তিনি মানিকচক থানায় এ বিষয়ে একটি লিখিত আবেদন করেছেন। আউসার বিবি জানান, তাঁরা ভেবেছিলেন সুলতান মারা গিয়েছেন। এখন তাঁকে ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়ার পর পরিবারের কাছে থানায় জানানো হয়েছে। তার ভিত্তিতে যুবককে খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ।