মমতার দাবি, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ইডিকে পাঠিয়েছে। তার পর তার বন্ধু বিজেপি ঢুকেছে ইডিকে সাথে নিয়ে। আর কিছু মিডিয়া ঢুকেছে। ঢুকে তিলকে তাল করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিল কে তাল করছে সংবাদমাধ্যম। সন্দেশখালি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমে তথাকথিত প্রশাসনিক সভায় এই দাবি করেন তিনি। সঙ্গে দাবি করেন, তাঁর নির্দেশেই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে সতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।
এদিন মমতা বলেন, ‘বিএসএফকে লেলিয়ে দিয়েছে। চোপড়ায় চারটে শিশুর মৃত্যু হল। কটা টিম গিয়েছে? বিলকিস মারা গিয়েছিল ক’টা টিম গেছিলেন? দলিতদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে ক’টা টিম গিয়েছিলেন? তপশিলিদের ওপর অত্যাচার হলে ক’টা টিম যান? আর বাংলায় জট পাকানোর চেষ্টা করেন। আমরা জট খোলার চেষ্টা করি। কোনও মানুষের ওপর অত্যাচার হলে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নেয়’।
মমতার দাবি, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। প্রথমে ইডিকে পাঠিয়েছে। তার পর তার বন্ধু বিজেপি ঢুকেছে ইডিকে সাথে নিয়ে। আর কিছু মিডিয়া ঢুকেছে। ঢুকে তিলকে তাল করছে। শান্তির পরিবর্তে আগুন লাগাচ্ছে। আমি তাদের বলতে চাই, আমি অফিসার পাঠাবো। যার যা অভিযোগ আছে তারা শুনবে। যদি কেউ মনে করে, কারও কাছ থেকে কেউ কিছু নিয়েছে, সবটাই ফেরত দেওয়া হবে। আমি যখন বলি, সেটা করি’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও মহিলা আজ পর্যন্ত কোনও অভিযোগ করেনি, FIR করেনি। আমি পুলিশকে বলেছি, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করো। আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্টও গ্রেফতার হয়ে গেছে’।
প্রশ্ন উঠছে, শিবু হাজরার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পদক্ষেপ হলে কেন এখনও তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করল না তৃণমূল? কেন ব্যবস্থা নিতে এতগুলো দিন কেটে গেল?