অশান্ত প্রতিবেশী নেপাল। এই পরিস্থিতিতে সেখানে থাকা ভারতীয়রা উদ্বিগ্ন। সেই আবহে সেখানে থাকা বাঙালিদের মনোবল জোগাতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জলপাইগুড়ি থেকে তিনি স্পষ্ট জানান, ভিন দেশে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, তাড়াহুড়ো করে যেন কেউ বিপদ ডেকে না আনেন। দু’-এক দিনের মধ্যেই সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, চা শ্রমিকদের হাতে তুলে দেবেন পাট্টা
নেপালের অশান্ত পরিস্থিতির খবর পাওয়ার পরই মঙ্গলবার রাতেই উত্তরকন্যায় পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী হিসেবে তিনি সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তৎপরতা দেখান। তাঁর নির্দেশে ইন্দো-নেপাল সীমান্তে এসএসবি (সশস্ত্র সীমা বল) এবং রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এসএসবি-র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডান্ট যোগেশকুমার সিংহ, উত্তরবঙ্গের আইজি রাজেশকুমার যাদব এবং দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘নেপালে প্রবলেম শুনেই সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এসেছি। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শান্তি ফিরবে। আমরা পরিস্থিতি মনিটর করছি।’ একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, অনেকে নেপালে বেড়াতে গিয়েছেন, তাঁদের চিন্তা করার দরকার নেই। রাজ্য সরকার বিষয়টা হাতে নিয়েছে। রাজ্য সরকার ফিরিয়ে আনবে।
এছাড়াও, উত্তরবঙ্গ থেকে নেপালের দূরত্ব কম হওয়ায় সীমান্ত সংলগ্ন থানাগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ও এসএসবি যৌথভাবে নজরদারি চালাচ্ছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সীমান্তে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। পাশাপাশি নেপালে কোনও ভারতীয় নাগরিক সমস্যায় পড়লে দার্জিলিঙ জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে। নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।