রেলের বিরুদ্ধে উঠল প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ। আর এর জেরে সোমবারের পর মঙ্গলেও হুগলির খন্যানে রেল অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। এর জেরে একাধিক লোকাল ট্রেন আটকে পড়েছে মাঝপথে। আদিসপ্তগ্রামে আটকে ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেসও। জানা গিয়েছে সকাল ৭টা ১০ মিনিট থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ এখনও চলছে। আড়াই ঘণ্টা পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। এদিকে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আশ্বাস দিয়েও স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ায়নি রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া-বর্ধমান শাখায় শক্তিগড় থেকে রসুলপুর পর্যন্ত থার্ড লাইনের কাজ চলছে। প্রি–ইন্টার লকিং কাজের জন্য ৩ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর এবং নন–ইন্টার লকিং কাজের জন্য ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তার জন্য নির্দিষ্ট সময় চলছে না ট্রেন। এই আবহে খন্যান, তালাণ্ডু, পাণ্ডুয়ায় বিক্ষোভ চলে সোমবার। আজও সকাল থেকে ফের বিক্ষোভ শুরু হয়। রেল লাইনে নেমে এবং টিকিট কাউন্টারের সামনে সেই বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে। আর তার জেরে সঠিক সময় কাজে যোগ দিতে পারেন না বহু অফিসযাত্রী।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রত্যেকদিন লোকাল ট্রেন দেরি করছে। সেই অভিযোগ আগে রেল কর্তৃপক্ষকে এবং স্টেশন মাস্টারকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। তাই গতকাল বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। আজও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপ ও ডাউন দুই লাইনে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। একাধিক স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। এদিকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দাবি, একবার কাজ শেষ হয়ে গেলে ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানে ট্রেনের গতি বাড়বে। তবে সেই কথায় কান দিতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা।