একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে পরপর কড়া জবাব দিয়ে এসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার তাঁকেই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, যা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলা হয় সেখানে ‘দায়িত্বে’ আনল তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘খারাপ সময়ের সৈনিক’ বলে কুণাল চললেন বন্দরশহর হলদিয়ায়। এখান থেকেই আসন্ন পঞ্চায়েত ও হলদিয়া পুরসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাবেন তিনি।
কেন কুণালকে নামানো হয়েছে? এই জেলায় শুভেন্দু এখন আগের মতো অবস্থায় নেই। সেই জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু কিছু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মী বিজেপি শিবিরে ভিড়েছেন। আর বিজেপির নিজস্ব নেতা–কর্মী তো আছেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। এবার সবদিক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিতে কুণাল ঘোষকে ময়দানে নামাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কুণাল ঘোষকে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং হলদিয়া পুরসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ‘বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট’ হাতে নিয়ে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত করে বিজেপিকে কাত করতেই যাচ্ছেন প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। এমনকী হলদিয়ায় একটি বাড়িও ভাড়া নেওয়া হয়েছে। আজই আনুষ্ঠানিক ‘গৃহপ্রবেশ’ হবে বাড়িটির।
ঠিক কী বলছেন কুণাল ঘোষ? এই নতুন দায়িত্ব পেয়ে সংবাদমাধ্যমে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমি দলের অনুগত এবং খারাপ সময়ের সৈনিক। দল যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে কখনও পিছিয়ে আসিনি। এবারও পিছিয়ে আসিনি। সংগঠন দেখার কাজটা মূলত জেলার দায়িত্বে থাকা লোকজনই করবেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পূর্ব মেদিনীপুরে সকলের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। সর্বস্ব দিয়ে তাই করব।’