মঙ্গলবার ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধী আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত হয়েছিল উঠেছিল জঙ্গিপুরের রঘুনাথগঞ্জ। তবে এখন সেখানকার পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। এদিকে আজ ভোরবেলায় জঙ্গিপুরের পরিস্থিতির ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বার্তাসংস্থা এএনআই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ টহল দিচ্ছে। সার দিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের একাধিক গাড়ি। এরই সঙ্গে গতকালকের হিংসার চিহ্নও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। অগ্নিদগ্ধ বোর্ড থেকে শুরু করে ভাঙচুরের চিহ্ন তুলে ধরা হয়েছে এএনআই-এর ভিডিয়োতে। এদিকে ভোরের দিকে এমনিতেও রাস্তায় জনমানবশূন্য ছিল। জাতীয় সড়ক দিয়ে গাড়ি কয়েকটি চলাচল করতে দেখা যায় ভিডিয়োতে। এই জাতীয় সড়কই গতকাল অবরোধ করে রাখা হয়েছিল। সেই অবরোধ তুলতে এসেই বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়েছিল পুলিশ। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধী প্রতিবাদে পুলিশের লাঠিচার্জ কেন? প্রশ্ন মমতারই মন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: 'কা কা ছি ছি গাওয়া মানুষটা…', ওয়াকফ নিয়ে তপ্ত জঙ্গিপুর, তোপ মমতার বিরদ্ধে
এদিকে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, এখন জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি পুরো শান্ত। এই আবহে কোনও গুজবে কান দিতে বারণ করা হয়েছে জনসাধারণকে। পুলিশ এই বিষয়ে লিখেছে, 'জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। অশান্ত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে গিয়েছে। জাতীয় মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যারা সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা গুজব রটাচ্ছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সকলের কাছে অনুরোধ করব, গুজবে কান দেবেন না। পাশাপাশি সকলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি।' (আরও পড়ুন: ইউনুসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা ডোভালের, বৈঠক নিয়ে রহস্য বাড়ালেন বাংলাদেশের খলিলুর)
উল্লেখ্য, সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশের প্রতিবাদে ৮ এপ্রিল উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ সেই অবরোধ তুলতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে অবরোধকারীরা। পালটা টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের অন্তত ২টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এর আগের দু'দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছিল পুলিশ। আর ৮ এপ্রিল ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকশো মানুষ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপর উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। জনতা ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। প্রায় দুঘন্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ। (আরও পড়ুন: যোগীর দেখানো পথে মমতা, পুলিশের DG নিয়োগের নিয়মে বড় বদল নবান্নের)