ভারত বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হল পেট্রাপোল। তবে সম্প্রতি এই স্থলবন্দরে দেশের মধ্যে বাণিজ্য অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। গত ১ জনুয়ারি থেকেই রফতানিতে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাব পড়েছে। এর প্রধান কারণ মূলত রাজনৈতিক অস্থিরতা। তার জন্যই বাণিজ্যে প্রভাব পড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বক্তব্য, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও কিছুটা স্বাভাবিক ছিল বাণিজ্য। কিন্তু, গত ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ার কম্বলে কাটে শীত, ভারতের চিপসের জন্য অপেক্ষায় বাংলাদেশ, অন্য সীমান্ত HT বাংলায়
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য জানান, রফতানিতে যে প্রভাব পড়বে সে কথা আগেই আশঙ্কা করা গিয়েছিল। সেইমতোই ১ জানুয়ারি থেকে রফতানি কমতে শুরু করেছে। এই সময়ের আগে ৪৫০ ট্রাক রফতানি হত। এখন তা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক। রফতানি আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আমদানি রফতানির ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশে অস্থিরতার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে টাকা লেনদেনের সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাদের বক্তব্য, সাধারণত এক্ষেত্রে লেনদেন হয়ে থাকে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। তবে সরকার পতনের পর বাংলাদেশে অনেক ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ফলে পণ্য পাঠিয়েও অনেক সময় টাকা পেতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আগে সরকার থাকার সময়ে পণ্য পাঠিয়ে পেমেন্ট পেতে অসুবিধা হলেও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পেমেন্ট পাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু, এখন সেই সুযোগ নেই। তারফলে রফতানি কমছে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীদের।
উল্লেখ্য, গতবছর পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোষ্টে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছিলেন ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালে পেট্রাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য হয়েছিল ১৮,০০০ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে সেই বাণিজ্য হয়েছিল ৩০,৫০০ কোটি টাকা।
আরও জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের আমদানিকারীরা ভারত থেকে পণ্য আমদানির আগ্রহ হারাচ্ছেন। যদিও অনেকের বক্তব্য, আসলে ভারতের সঙ্গে পণ্যের আমদানি বন্ধ করতে চাইছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বতী সরকার। তাই আমদানি কর বাড়ানো হয়েছে।