হাওড়ায় গুলিবিদ্ধ চণ্ডীতলা থানার ওসি জয়ন্ত রায় শনিবার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেন। আর সেদিনই তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন হুগলিরই এক তৃণমূল নেতা। জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি সুরজিৎ মণ্ডলের দাবি, ওসির মদতে এলাকায় চলছে মাটি পাচার, জুয়া - সাট্টা। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন ওসি।
শনিবার সংবাদমাধ্যমকে সুরজিৎবাবু বলেন, ‘উনি চণ্ডীতলা থানায় আগেও ছিলেন। তখন চণ্ডীতলায় মাটি মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত ছিল দেখার মতো। উনি থাকাকালীন এখানে জুয়া - সাট্টা - অরাজকতা চরমে পৌঁছেছিল। উনি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর সেগুলোও কমে যায়। উনি আবার আসার পর চণ্ডীতলা থানা এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বেড়ে গিয়েছিল। মানুষ প্রতিবাদ করলে তাদের হুমকি দেওয়া হত। তাদের ভুয়ো মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হত। সাধারণ মানুষ ওসির দেখা পেত না। রাতে উনি মত্ত অবস্থায় ডিউটি করতেন। জনপ্রতিনিধিদের গরু ছাগল ভাবতেন। সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিলেন উনি। একটা কথা আছে না, পাপ বাপকে ছাড়ে না। সেটাই হল।’
ওদিকে শনিবার হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অপসারিত ওসি জয়ন্ত পাল। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।