রাম নবমীর মিছিলে হামলা পরবর্তী হিংসায় আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাওড়া গিয়ে মমতা বন্দ্যোেপাধ্যায়ের প্রশাসনের পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। রবিবার সকালে হাওড়ার শিবপুরে ঢোকার মুখে তাঁকে বাধা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। যার ফলে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পুলিশ আধিকারিককে সুকান্তবাবু প্রশ্ন করেন, কোন বিশেষ সাংবিধানিক বলে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এলাকায় ঢুকলেন? প্রশ্নে কোনও জবাব ছিল না পুলিশের কাছে। এর পর তিনি উপদ্রুত এলাকায় এগিয়ে যান।এদিন সকালে বিদ্যাসাগর সেতুর কাছে সুকান্তবাবুর কনভয় আটকায় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকরা জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফলে সেখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পালটা প্রশ্ন করেন সুকান্তবাবুও। তিনি বলেন, শনিবারও তো ১৪৪ ধারা জারি ছিল। তাহলে কোন বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতায় মন্ত্রী অরূপ রায় দলবল নিয়ে সেখানে ঢুকেছিলেন? এমনকী তিনি দাবি করেন, ‘মন্ত্রী মার খাচ্ছেন। কাল ওর গাড়ি ভেঙেছে। ওর লোকজন মার খেয়েছে। মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন, তাঁর হাত কী ভাবে কেটেছে? পেঁয়াজ কাটছিলেন?’এর পর শিবপুরের সন্ধ্যাবাজারে উপদ্রুত এলাকার দিকে এগিয়ে যান সুকান্তবাবু। সেখানে একটি শীতলা মন্দিরে পুজো দেন। আহত অঙ্কিত রানা ও গৌরব দাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এর পর ফের সুকান্তবাবুকে বাধা দেয় পুলিশ।এদিন সুকান্তবাবুর সঙ্গে বাদানুবাদের সময় এক পুলিশ আধিকারিককে বলতে শোনা যায়, অরূপ রায় ১৪৪ ধারা ভেঙে এলাকায় ঢুকেছিলেন। পালটা সুকান্তবাবু প্রশ্ন করেন, সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি?