তবে কি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আশা ছেড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? সাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গঙ্গাসাগরে গিয়ে তাঁর করা মন্তব্যে উঠছে এই প্রশ্ন। এদিন তিনি বলেন, সুযোগ যদি পাই তাহলে সাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করে দেব।
গত কয়েক বছর ধরে সাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে চলেছেন মমতা। এবারও সাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সেই দাবি তুললেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, ‘এটা আমাদের ছোট্ট আবেদন। কুম্ভ মেলা যদি জাতীয় মেলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। আমরা কুম্ভ মেলাকে সম্মান করি। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা কিন্তু কুম্ভ মেলার থেকে কোনও অংশে কম নয়। সেখানে লোকে যায় রেলে, গাড়িতে। কিন্তু আমাদের এখানটায় জল পেরিয়ে আসতে হয়। অর্থাৎ এটার ভ্যালু সব থেকে বেশি। তা সত্বেও এই মেলাটাকে জাতীয় মেলা হিসাবে ঘোষণা করা হয়নি। আমি প্রতিবার আসি, প্রতবার বলি। আজ নয় কাল, সুযোগ যখন পাব, সুযোগ যদি কোনও দিন পাই ডেফিনেটলি করে দেব?’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, অদূর ভবিষ্যতে কি কেন্দ্রে সরকার বদলের সম্ভাবনা দেখছেন না মমতা? সেই হতাশা থেকেই কি ‘সুযোগ যদি কোনও দিন পাই’ বলে ফেললেন তিনি?
বিরোধীদের পালটা দাবি, নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানাননি কেন? তখন কি সাগর মেলার তাৎপর্য কম ছিল? বিরোধীদের দাবি, আসলে সাগর মেলা জাতীয় মেলার স্বীকৃতি পেলে প্রচুর কেন্দ্রীয় বরাদ্দ আসবে। সেই টাকা তছরূপ করে রাজ্যে শ্রীবৃদ্ধি হবে তৃণমূলের। যে পরিণতি হয়েছে রাজ্যে কেন্দ্রের অন্য প্রকল্পগুলির।