এক নাবালকের মূত্র থলিতে ঢুকে গেল আস্ত একটি জোঁক। ভিতরে সেটি জীবন্ত অবস্থায় ছিল। যারফলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল নাবালক। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের তৎপরতায় নতুন জীবন পেল নাবালক। অস্ত্রোপচার করে বের করা হয় জোঁকটি। বর্তমানে সুস্থ রয়েছে ওই নাবালক।
আরও পড়ুন: ছেলের গলায় কোপ বসাল বাবা, অপারেশনের সময় ডাক্তারকে ছুরি মারল যুবক
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়গ্রামের শাদলের রানিগ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালক হঠাৎ তীব্র পেটব্যথা নিয়ে ভর্তি হয় মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে। তার তলপেটের নিচের দিকে যন্ত্রণা এতটাই প্রবল ছিল যে স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকতেও পারছিল না। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকরা ব্যথার উৎস চিহ্নিত করতে না পারলেও, দ্রুতই ইউএসজি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানেই ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে দেখা যায়, নাবালকের মূত্রথলির ভিতর একটি জীবন্ত জোঁক রয়েছে। সেটি রক্ত শুষে আকারে বড় হয়ে চলেছে!
ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে কোনও সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকেরা মধ্যরাতেই জরুরি অস্ত্রোপচারে নামেন। ফ্যানেনস্টিয়েল ইনসিশনের মাধ্যমে ‘ওপেন সিস্টোস্টমি’ পদ্ধতিতে প্রায় এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় জোঁকটিকে বের করে আনা হয়। এরপর নাবালককে দু’দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয় মেডিক্যাল কলেজে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক রয়েছে। কীভাবে ওই জোঁক শিশুটির মূত্রথলিতে পৌঁছল? সে বিষয়ে চিকিৎসকদের ধারণা, বৃহস্পতিবার দুপুরে সে পুকুরে স্নান করছিল। স্নানের সময় কোনওভাবে মূত্রনালির পথ ধরে জোঁকটি তার শরীরে প্রবেশ করে এবং মূত্রাশয়ে গিয়ে রক্ত শুষে বড় হতে শুরু করে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. অমিত বড়ুয়া বলেন, ছেলেটি তীব্র ব্যথা নিয়ে আসে। ইউএসজিতে অবাক করা দৃশ্য ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সময় মতো অস্ত্রোপচার না করলে বড় বিপদ হতে পারত।