খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেন। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) এই খবর জানিয়েছে। লকডাউন পরবর্তী সময়ে এই ট্রেন চালু করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। তাহলে পর্যটন শিল্প ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ–এনজেপি ট্রেন চালু থাকায় পর্যটক আসতে শুরু করেছে। কিন্তু টয়ট্রেন চালু না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পর্যটক আসতে পারছেন না। তাই সোমবার থেকে পরীক্ষামূলক টয়ট্রেন চালানো শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই তা পাহাড়ের বুক চিরে কাঞ্চনজঙ্ঘার শীতল বাতাস মেখে চাকা গড়াবে।এই বিষয়ে ডিএইচআর–এর অধিকর্তা একে মিশ্র বলেন, ‘আমরা পরিষেবা দিতে প্রস্তুত। অপেক্ষা করছি রাজ্য সরকারের অনুমতির জন্য। এখন আপাতত দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত জয় রাইড চালু আছে। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ উত্তরবঙ্গের এই রেলপথ একদিকে যেমন ঐতিহ্যবাহী তেমনই এই ডিএইচআর ইউনেসো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভূক্ত।উল্লেখ্য, এখানেই রাজেশ খান্না–শর্মিলা ঠাকুরের আরাধনা সিনেমার শুটিং হয়েছিল। যা আজও মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনীত ম্যায় হুঁ না এবং পরিণীতার শুটিংয়ে জড়িয়ে রয়েছে এই টয় ট্রেন। দার্জিলিং মূলত পর্যটনের উপরই নির্ভরশীল। ১.৫ মিলিয়ন পর্যটক প্রত্যেক বছর এখানে আসেন। তিন কামরার টয়ট্রেন এখানে মূল আকর্ষণের বিষয় বলা যায়। প্রতি বছর ৬০ হাজার মানুষ এই টয়ট্রেনে সফর করেন। করোনার জেরে যা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। ডিএইচআর–এর পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি–দার্জিলিং, শিলিগুড়ি– তিনধরিয়া এবং কার্শিয়াং–শিলিগুড়ির মধ্যে রেল যোগাযোগ রয়েছে। যা করোনার জেরে বন্ধ ছিল।