বাংলার প্রায় ১০টি জেলায় সম্পাদক পদে বদল আনতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কারণ তাঁরা পাখির চোখ করেছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাই সিপিএমের জেলা সম্মেলন চলাকালীন নদিয়া এবং জলপাইগুড়ি জেলায় সম্পাদক পদে বদল এসেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্যের ভাবনা, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, হাওড়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলায় সম্পাদক পদে বদল আনা হোক। নতুন মুখ না আনলে সংগঠন বাড়বে না। যদিও পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুরের জেলা সম্পাদক পদে বদল চাইছে না শীর্ষ নেতারা।
এখন সিপিএমের যা দশা তাতে শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ২০১১ সালে ক্ষমতা থেকে যাওয়ার আগে বছরের পর বছর কিছু নেতা সিপিএমের জেলা সম্পাদক পদে থাকতেন। ২০১৮ সালে সিপিএমের হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, কোনও পদে কোনও নেতা তিন টার্মের বেশি থাকতে পারবেন না। তারপর পার্টি কংগ্রেসে বয়সের মাপকাঠি ঠিক হয়। নির্দিষ্ট বয়স পেরিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে পদ থেকে বিদায় নিতে হবে। বয়স ৭০ হলে জেলা সম্পাদক অথবা জেলা কমিটি থেকে সরতে হবে। একসঙ্গে এতগুলি জেলায় সম্পাদক পদে বদল আনতে পারবে সিপিএম? প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: আট অফিসারের দল গঠন করল রাজ্যের অর্থ দফতর, নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন
বড়দিনের আগে চারটি জেলায় সিপিএমের সম্মেলন শেষ হয়। চারটির মধ্যে দু’টি জেলাতে সম্পাদক বদলও হয়েছে। নদিয়া জেলায় সুমিত দে’কে সরিয়ে নতুন সম্পাদক হন মেঘলাল শেখ। আর জলপাইগুড়িতে সলিল আচার্যের জায়গায় জেলায় সম্পাদক হন পীযূষ মিশ্র। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব–পশ্চিম বর্ধমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় এখন সম্মেলন বাকি। সিপিএমের এক নেতা বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা, পুরুলিয়াতে সম্পাদক বদল হতে পারে। কলকাতাতেও সম্পাদক পদে বদল হতে পারে।’ তবে তন্ময় ভট্টাচার্য বিতর্ক নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার সম্মেলনে জলঘোলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এখন সুশান্ত ঘোষ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদকের দায়িত্বে নেই। বিজয় পাল ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হয়ে কাজ চালাচ্ছেন। এখানে কেমন সমীকরণ দাঁড়ায় সেটাও দেখার বিষয়। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার ক্ষেত্রে কোন পথে হাঁটে লালপার্টির নেতারা সেটাও দেখতে হবে। রাজ্যের সংখ্যালঘু প্রধান জেলাগুলিতে কাদের আনা হয় সেই ভাবনাচিন্তা চলছে বলে সূত্রের খবর। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর নিয়ে বাড়তি ভাবনাচিন্তা চলছে। আর কলকাতায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেটাও বেশ চাপের ব্যাপার।