পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই উপনির্বাচনে জয় বাম–কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে। বিধানসভায় খাতা খোলা নিশ্চিত হতেই তাঁদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এটা চিন্তার কারণ তাঁদের কাছে। উপনির্বাচনে পরাজিত হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ে।
বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকরা।
অবশেষে বিধানসভায় খাতা খুলছে কংগ্রেস। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ট্রেন্ড বলছে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী। কংগ্রেস এবার সিপিএমের সঙ্গে জোট করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। আর আগে থেকেই তৃণমূল এখানে স্থানীয় নেতাকে তুলে এনে পরীক্ষা করতে চাইছিল। সেই পরীক্ষায় বোঝা গেল, হেভিওয়েট প্রার্থী দিলে তৃণমূল এখানে জিততে পারত। আর কংগ্রেস একা লড়াই করলেও এখানে পরাজিত হতো। সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক এখানে কাজ করেছে বলেই কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হল। বেশ কয়েক রাউন্ড গণনা বাকি থাকলেও শুরু থেকে প্রত্যেক রাউন্ডে এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। সেক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাগরদিঘি হাতছাড়া হচ্ছে বলেই খবর।
এখানে আগেই অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, সাগরদিঘিতে তৃণমূলের জেতার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তখন বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি। তবে এখন বোঝা যাচ্ছে একেবারে সাধারণ সদস্যকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে বলেই এই হার। কারণ বিরাট ব্যবধানে তৃণমূল হেরেছে এমনটা নয়। সপ্তম রাউন্ড গণনার শেষেও কংগ্রেস প্রার্থী তথা জোট প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ৮০০০–এর বেশি ভোটে এগিয়ে আছে। পুরো রাজ্যের মধ্যে একটি মাত্র বিধানসভা যেখানে উপনির্বাচন হয়েছে। আর সেখানেই প্রথম থেকে এগিয়ে যায় কংগ্রেস প্রার্থী।