উত্তরবঙ্গ সফরের আজ দ্বিতীয় দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এবার শিলিগুড়ি পুরসভা জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন শিলিগুড়ি পুরসভার জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। আর নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের মানুষের জন্য কাজের পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এদিন তিনি নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের বলেন, ‘মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। বেশি চাহিদা করা যাবে না। আমি নিজে পুরবোর্ডের মনিটরিং করব। কাউন্সিলরদের যেন বেশী চাহিদা না থাকে। সর্ব স্তরের, সর্ব ধর্মের প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে চলতে হবে। তাদের জন্য কাজ করতে হবে। কোনওভাবেই বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না। একটি কমিটি তৈরি করা হবে। আমি সেই কমিটিতে নিজে মনিটরিং করব।’
মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী দলের ৩৭ জন কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করে বেশ কিছু নির্দেশ দেন তিনি। গৌতম দেবকে পাশে নিয়ে উত্তরকন্যায় নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের সঙ্গে ফটোসেশনে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘মানুষ যেন কোনও অভিযোগ করতে না পারে। সকলকে এলাকায় ভাল করে কাজ করতে হবে। কলকাতাকে দেখলে যেমন সকলে বলে, বদলে গিয়েছে। রাজারহাটকে দেখলে বলে, আন্তর্জাতিক স্থান হয়ে গিয়েছে। সেই লক্ষ্য শিলিগুড়িতেও নিতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে আমাকে জানাতে হবে।’
শিলিগুড়ি পুরসভার জয়ে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানান, শিলিগুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। অনেক কাজ করেছি শিলিগুড়িতে। গজলডোবা থেকে বেঙ্গল সাফারি করেছি। রাস্তার সম্প্রসারণ, ফ্লাইওভার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হোক এখানে সেটা চাই। মালদহেও জমি দেব। বড় বিমান নামবে সেখানে। আর ৬ ঘন্টায় এখান থেকে কলকাতায় যাওয়া যাবে সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।