বিরোধীরা যতই সমালোচনা করে যান না কেন, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু নীরবে কাজ করে চলেছেন। কদিন ধরে বজবজ স্টেশনে এক অন্তঃসত্ত্বা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। বজবজ স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকায় প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা ঝুপড়িতেই থাকতেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা এবং তাঁর মা। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন যাতায়াতের পথে টাকাপয়সা দিতেন। ভিক্ষা করতেন তাঁরা। এভাবেই চেয়েচিন্তে তাঁদের দিন কেটে যেত। এবার ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার দেখা দিল বড় সমস্যা। আর সেই সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা একদিকে যেমন কানে শুনতে পেতেন না, ঠিক তেমনি রাতে একদম চোখে দেখতে পেতেন না। কোনওরকমে দিন গুজরান করতেন মা ও মেয়ে। বজবজ–শিয়ালদা শাখায় যাত্রীদের থেকে ভিক্ষা করেন কুনাল দলুই নামে এক বৃহন্নলা। তিনি আবার পূজালীর বাসিন্দা। ওই বৃহন্নলার দাবি, মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে তিনি প্রত্যেকদিন দেখতেন। কিন্তু তার বেশি কিছু বৃহন্নলার চোখে ধরা পড়ত না। কিন্তু সেদিন বৃহন্নলা ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে স্টেশন চত্বরে নগ্ন অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন। তাঁর কাছে গিয়েই বুঝতে পারেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা।
আরও পড়ুন: প্রকৃতির রুদ্ররূপে লণ্ডভণ্ড উত্তরবঙ্গ, নতুন করে ধস নামায় বন্ধ রাস্তা, ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক স্তব্ধ
এই দেখে ওই বৃহন্নলা বেশ বিপাকে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে ওই বৃহন্নলা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে জামাকাপড় পরিয়ে দেয়। আর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চিকিৎসার জন্য বৃহন্নলা ওই মহিলার কথা জানিয়ে স্থানীয় বজবজ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর কৌশিক রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার পরিচয়পত্র চাওয়া হয়। তাতে আরও জটিলতা বাড়ে।