ভিন রাজ্যে বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাঙালিদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এমন ঘটনায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বহু বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। আতঙ্কে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। সেই আবহে এবার বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের এক মহিলাকে আটক করল মুম্বই পুলিশ। বাংলাদেশি সন্দেহে গৃহবধূকেটানা প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে চলল জিজ্ঞাসাবাদ ও নথি যাচাই। অবশেষে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বজবজ থানার তৎপরতায় মুক্তি মেলে ওই মহিলার। (আরও পড়ুন: পূর্ব ভারত থেকে হামলা শুরু করব, হুমকি দিয়ে দাবি পাক সেনাপ্রধান মুনিরের)
আরও পড়ুন: আড়াই লক্ষ টাকার বাস ভাড়া করে আতঙ্কে হরিয়ানা থেকে কোচবিহারে ফিরলেন ১০৩ শ্রমিক
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ ১ নম্বর ব্লকের উত্তর রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সোমা বিবি দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর ধরে নভি মুম্বইয়ের শিরোনাবাজার এলাকায় পরিচারিকার কাজ করছেন। স্বামী জাহির জমাদার আগে ওই এলাকারই একটি শপিং মল ও আবাসনে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। গত বছর দুই ছেলে তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে বজবজে ফিরে আসেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাড়ি ফেরেন জাহিরও। সোমা বিবি থেকে যান কর্মস্থলে। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে কাজ সেরে প্রায় আটটার সময় রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সোমা বিবি। ফোনে ছেলের সঙ্গে বাংলায় কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় মুম্বই পুলিশের এক মহিলা অফিসার বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁকে আটক করেন। সরাসরি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। যদিও লকআপে রাখা হয়নি, তবে থানায় বসিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁর পরিচয়পত্র, ভোটার কার্ড, আধার সহ সমস্ত নথি খুঁটিয়ে দেখা হয় এবং একাধিক প্রশ্ন করা হয়। (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান হল ডাম্পার ট্রাক,ভারত চকচকে মার্সিডিজ…', বিস্ফোরক ফিল্ড মার্শাল মুনির)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি মুনিরের নিশানায় মুকেশ আম্বানি!
আরও পড়ুন: 'পরবর্তী যুদ্ধ খুব তাড়াতাড়ি হতে পারে', মুনিরের হুমকির আগেই কি কিছু আঁচ করেছে ভারত?
এই ঘটনার খবর বজবজে পৌঁছাতেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। উত্তর রায়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে যোগাযোগ করা হয় বজবজ থানার সঙ্গে। পাশাপাশি খবর যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসেও। তাঁদের হস্তক্ষেপেই শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার পর মুক্তি পান সোমা বিবি। মুক্তির পর বড় ছেলে সাহাবুদ্দিন জমাদার জানিয়েছেন, এই অভিজ্ঞতার পর তাঁরা আর মাকে মুম্বই পাঠাবেন না। ইতিমধ্যেই ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলা হয়েছে। খুব শিগগিরই সোমা বিবি বাড়ি ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।