বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Bangladeshi ABT Terrorist Update: জেলে একাধিককে ধর্মান্তরিত করেছে খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি তারিকুল: রিপোর্ট
জেলে বসে তারিকুল যে টাকা সংগ্রহ করেছিল, সেটা সত্যিই জরিমানা মেটানোর জন্যে নাকি জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্যে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই আবহে অসম পুলিশের হাতে ধৃত আব্বাস এবং মিনারুল শেখকে জেরা করতে চাইছে বঙ্গ পুলিশ।
Ad
জেলে কয়েকজনকে ধর্মান্তরিত করে খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি তারিকুল!
খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলামকে সম্প্রতি হেফাজতে নিয়েছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বাংলাদেশি জঙ্গিদের জালে ধরতেই তারিকুলকে জেরা শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। আর এরই মাঝে জেলের অন্দরে তারিকুলের একের পর এক কীর্তি সামনে আসতে শুরু করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলে বসেই টাকা সংগ্রহ করেছিল তারিকুল ওরফে সাদিক সুমন। জরিমানা মেটানোর জন্যে নাকি এই টাকা সে সংগ্রহ করছিল। এরই মধ্যে কয়েক লাখ টাকা সে সংগ্রহও করে ফেলেছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। শুধু তাই না, জেলে নাকি বেশ কয়েকজনকে জঙ্গি মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করে ধর্মান্তরিত পর্যন্ত করেছিল তারিকুল। (আরও পড়ুন: ৩৮% প্রিমিয়ামে লিস্টিং, তারপর মিনিটেই আপার সার্কিট ছুঁল এই শেয়ার, একদিনে লাভ কত?)
সম্প্রতি অসম পুলিশের জালে ধরা পড়ে মহম্মদ আব্বাস নামের এক জঙ্গি। এই আব্বাসকে নাকি বিভিন্ন জঙ্গি নেতার সঙ্গে দেখা করার জন্যে পরামর্শ দিয়েছিল তারিকুল। উল্লেখ্য, রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি তারিকুলকে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছিল অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সও। তবে আপাতত তারিকুল আছে বাংলার পুলিশের হাতে। এদিকে গোয়েন্দাদের অনুমান, তদন্তে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে জেরায় অনেক মিথ্যা বলছে তারিকুল। এদিকে জেলে বসে তারিকুল যে টাকা সংগ্রহ করেছিল, সেটা সত্যিই জরিমানা মেটানোর জন্যে নাকি জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্যে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই আবহে অসম পুলিশের হাতে ধৃত আব্বাস এবং মিনারুল শেখকে জেরা করতে চাইছে বঙ্গ পুলিশ। (আরও পড়ুন: 'পূর্ব পাকিস্তানেই' পড়ে BGB! রানাঘাটে ৫ কিমি-র 'দখল' নিয়ে বড় দাবি বাংলাদেশের)
রাজ্যে বাংলাদেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসাউল্লাহ বাংলার একের পর এক জঙ্গির গ্রেফতারির পর উঠে আসে খাগড়াগড় কাণ্ডে বহরমপুর জেলে বন্দি তারিকুলের নাম। ধৃত জঙ্গিরা জানায় জেল থেকেই জঙ্গি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে তারিকুল। জেলে অন্য বন্দিদের ইসলামিক চরমপন্থায় মগজধোলাই করে সে। তার কথাতেই জেএমবি ছেড়ে আনসারুল্লাহ বাংলায় যোগ দিয়েছে একাধিক জঙ্গি। মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত বাংলাদেশি জঙ্গি মনিরুল ও আব্বাস আলির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তারিকুলের। ২০১৯ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছিল তারিকুলকে। সেই সময় বহরমপুর জেলে পকসো মামলায় বন্দি ছিল আব্বাস। সেখানেই আলাপ হয়েছিল দু'জনের। পরে জেল থেকে বেরিয়ে মিনারুলের সঙ্গে আব্বাস অসম গিয়েছিল। সেখানে নূরের সঙ্গে দেখা করে তারা। পরে আব্বাস এবং মিনারুলের নেতৃত্বে বাংলার মুর্শিাবাদে এবিটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। এদিকে তারিকুল এই ধরনের আরও 'আব্বাসের' মগজধোলাই করেছে কি না, তা জানতে চাইছে পুলিশ।