পকসো মামলায় নিয়ম না মানায় হাইকোর্টের রোষের মুখে পড়লেন একটি মামলার তদন্তকারী অফিসার ওই অফিসারের বিরুদ্ধে রুল জারি পদক্ষেপ করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পোষ্যের কারণে অন্যের ক্ষতি যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করা মালিকের কর্তব্য, হাইকোর্ট
নদিয়ার হাঁসখালি থানার একটি মামলায় থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী অফিসার দীপক কুমার মালাকারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক। জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ করতে হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০২২ সালের। এক নাবালিকার সঙ্গে নাবালকের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনায় নাবালিকার পরিবার নাবালকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে পুলিশ ওই নাবালকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার সময় অভিযুক্ত নাবালক থাকলেও গ্রেফতারের সময় সে হয়ে গিয়েছিল প্রাপ্তবয়স্ক। তবে পুলিশ অভিযুক্তকে সাবালক হিসেবেই দেখিয়েছে।
নাবালকের আইনজীবী পুলিশের তদন্তে বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরেন। নাবালকের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, পকসো মামলার ক্ষেত্রে যে গাইডলাইন তা মানা হয়নি। গ্রেফতারের কারণ থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড বা সাক্ষী হিসেবে কাউকে রাখা হয়নি। তাঁরা পুলিশের একগুচ্ছ ত্রুটি তুলে ধরেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের কাছে ক্ষমা চান ওই তদন্তকারী অফিসার। কিন্তু, আদালত তা গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি সেই মামলাতেই নাবালকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত।
মালামায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এরকম গুরুতর মামলায় পুলিশ নিজেই নিয়ম মানছে না। এরপরই বিচারপতি এই নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এই ঘটনাকে গোটা রাজ্যের পুলিশের উদাহরণ হিসেবে দেখা উচিত বলে জানান বিচারপতি।