আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার বিভিন্ন জেলায় বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ সামনে আসছে। অভিযোগ উঠছে, কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার কর্মী বলে দাবি করে ভোটারদের বাড়ি যাচ্ছেন। এরপর তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ-সহ অন্যান্য বিষয় জানার চেষ্টা করছেন। এবার অনুমতি না নিয়ে নাগরিকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য হরিয়ানার একটি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল পুলিশ। চাঁচলের কুশমাই ও নেহালপুর গ্রাম থেকে দু’দিনে মোট ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৈধদের নাম কেটে ভুয়ো ভোটারদের তালিকায় স্থান? নামখানার ২ সরকারি কর্মীর নামে FIR!
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, হরিয়ানার ওই সংস্থার কর্মীরা গলায় আইকার্ড ঝুলিয়ে, হাতে ট্যাব নিয়ে এই এলাকাগুলিতে ঘোরাঘুরি করছিলেন। এরপর বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্য সংখ্যা, পেশা, রাজনৈতিক মনোভাব প্রভৃতি জানার চেষ্টা করছিলেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি কোন দলকে সমর্থন করেন, সে কথা তাঁর কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন ওই কর্মীরা। এছাড়া, মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছেন।
যদিও ওই কর্মীরা জানিয়েছেন, ভোট আসছে। সেই কারণে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে তেমন বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজর দিতে বলেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবদুর হিম বক্সি। একইসঙ্গে তিনি এর জন্য বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন।
তাঁর দাবি, ভোটের আগে বিজেপি ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে। তাদের খারাপ কিছু করার চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ রহিম বক্সির। তিনি জানান, বিজেপির এই চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দলের স্থানীয় নেতৃত্বের বক্তব্য, এই সমীক্ষার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। পুলিশ জানিয়েছে, দুটি এলাকা থেকে ৮ জন কর্মীকে আটক করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, হরিয়ানার একটি সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত। এর জন্য সংস্থাটি প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেয়নি। তাই ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।