পুজোর আবহেই তলায় তলায় বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রে চলেছে আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচার। জনসংযোগের জন্য পুজোর মণ্ডপের থেকে ভালো স্থান আর কোথায় হতে পারে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দশমী- একাদশীতে খড়দায় জোর প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার খড়দার ৬টি ওয়ার্ডে যান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রচার কর্মসূচির শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, খড়দার মানুষের এত ভালোবাসা তিনি আশা করেননি। এখানে জিতলে তাঁর পরবর্তী পরিকল্পনার আভাসও দিয়ে রাখেন এই বর্ষীয়ান নেতা। এদিকে খড়দায় বিজেপির পদ্ম ফোটাতে মরিয়া ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। এই লড়াই রীতিমতো প্রেস্টিজ ফাইটে পরিণত হয়েছে তাঁর কাছে। তাঁল লোকসভা আসনের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে সেই অর্থে ভালো ফল করতে ব্যর্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে এবার একটি আসন নিজেদের ঝুলিতে পুড়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে। তবে সাধারণত উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে জয় পায় শাসক দলই। তবে হাল ছাড়তে নারাজ অর্জুন সিং। আর তাই রণংদেহী মেজাজে শোভনদেবকে '৮০ বছরের বৃদ্ধ' বলে কটাক্ষ করতেও পিছপা হননি। পাশাপাশি তাঁর দাবি, খড়দায় ৩২ বছর বয়সী বিজেপি প্রার্থী জয় সাহার জয় হবে।উল্লেখ্য, নির্বাচনের সময় খড়দা আসনটি জিতেছিল তৃণমূল। বিজেপির তরফে এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল ত্যাগী শীলভদ্র দত্ত। তবে উপনির্বাচনে শীলভদ্রকে টিকিট দেয়নি গেরুয়া শিবির। বরং বিজেপি দাঁড় করিয়েছে স্থানীয় নেতা জয় সাহাকে। বিজেপি প্রার্থীর জয়ের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে অর্জুনের বক্তব্য, 'খড়দায় ৮০ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ৩২ বছরের ভূমিপুত্রের লড়াই। এলাকার মানুষ জয়কেই নির্বাচিত করবেন। আমি জয়ের জেতার ব্যাপারে ২০০ শতাংশ নিশ্চিত। সাধারণ মানুষ রাজ্যের দুর্নীতি ও অপশাসনের বিরুদ্ধে জয়কেই ভোট দেবেন।' এদিকে বিজেপির অভিযোগ, মণ্ডপে গিয়ে প্রচার করার সময় বাধা দেওয়া হয় জয় সাহাকে। বিজেপি প্রার্থীকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগও উঠেছে।এদিকে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত শোভনদেব। নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করায় ভবানীপুরে লড়ে জিতেছিলেন শোভনদেব। তবে নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার পর ভবানীপুর আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য 'ছেড়ে দেন' শোভনদেব। এহেন শোভনদেবের বিরুদ্ধে কোমর কষে ময়দানে নেমেছেন জয় সাহাও।