বঙ্গ–বিজেপির মুষলপর্ব বেড়েই চলেছে। শান্তুনুদের ঠাণ্ডা করতে এখনও পারা যায়নি। সাময়িক বরখাস্তের রাস্তায় হেঁটে রফাসূত্র মেলেনি। এবার গৃহযুদ্ধ দেখা গেল সাংগঠনিক জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে। উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সহ–সভাপতি সুনীতা ঝাওয়ার পদত্যাগ করেছেন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, ‘আমি দলের সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই।’ কিন্তু সুনীতার কাছের মানুষদের দাবি, জেলা কমিটি থেকে সব আদি বিজেপি কর্মীকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদেই তাঁর এই পদত্যাগ। এদিন বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা কমিটিতে সজল ঘোষকে আনা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদে। অথচ জায়গা পাননি দুই বিজেপি নেতা তথা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার মীনাদেবী পুরোহিত এবং বিজয় ওঝা। এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত ২৬টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। আর তার ছত্রে ছত্রে রয়েছে বিতর্ক। এখন বাংলায় গেরুয়া পার্টির ৪২টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, কাঁথি সহ একাধিক দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আদি নেতা–কর্মীদের বাদ দেওয়ায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে। এই বিক্ষুব্ধরা এবার একছাতার তলায় আসতে চাইছেন। ফলে সংগঠন দুর্বল হতে শুরু করেছে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কাঁথি থেকে শুরু করে একাধিক সাংগঠনিক জেলায় সহ–সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সম্পাদক–সহ একাধিক পদে যোগ্য ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ওই পদগুলি ফাঁকা রেখে কমিটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ ১০ জানুয়ারির মধ্যে জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই তড়িঘড়ি এই পথ অনুসরণ করতে হয়েছে।’