নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল মালদা। প্রতিবেশীর হাতে খুন হয়ে গেলেন গৃহবধূ। কুড়ুলের আঘাতের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল দেহ। এই খুনের ভয়াবহতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গ্রামবাসীরা হামলাকারী যুবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। ধৃত মানসিক ভারসাম্যহীন কি না সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দশ বছর হয়ে গিয়েছে স্ত্রী সঙ্গে বিচ্ছেদ। তারপর থেকেই গ্রামে দা, কোদাল ও কুড়ুল নিয়ে ঘোরাফেরা করত মধ্যবয়সী এই যুবক। বিবাহবিচ্ছেদের পর গ্রামের গৃহবধূদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা লেগেই থাকত তার। যুবক গ্রামের গৃহবধূদের একটা প্রশ্ন করতেন। ‘আমার জিনিস ফিরিয়ে দাও’। তবে যুবক কি চাইছে সেটা গৃহবধূরা জানেন না। তবে সেই রেশ এবার শেষ হল নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম শীতল প্রামাণিক। এক মহিলার সঙ্গে এদিনও বচসায় জড়িয়ে পড়ে শীতল। বচসার মধ্যেই হাতের কুড়ুল দিয়ে গ্রামের মহিলাকে কোপাতে শুরু করে শীতল। চিৎকার শুনে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা এসেই শীতলকে ধরে ফেলেন। আর খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে শীতলকে গ্রেফতার করেছে এবং উদ্ধার হয়েছে কুড়ুলটিও। খুন হওয়া গৃহবধূর নাম বেগুনি দাস। তাঁকেই তার জিনিস ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে শীতল প্রামানিক। তখন তার হাতে ছিল ধারালো কুড়ুল। সেই কুড়ুল নিয়ে বেগুনির দিকে তেড়ে গিয়ে আঘাত করলে খুন হন গৃহবধূ। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী থাকল মালদার চাঁচল থানার ভগবানপুর গ্রাম।