রাহুল রিক্তিরাজ। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থানে রয়েছে এই মেধাবী ছাত্র। জয়নগর ট্রেনিং হাইস্কুলেরএই ছাত্র মাধ্যমিকে দশম স্থান অধিকার করেছে। তার এই সাফল্যে গর্বিত তার পরিবার। গর্বিত তার প্রতিবেশীরা।
রাহুলের বাবা পেশায় শিক্ষক। তবে রাহুল ভেবেছিল তার আরও ভালো রেজাল্ট হবে। দশম হওয়ার জন্য কিছুটা হলেও মন খারাপ রাহুলের। আরও ভালো কিছু আশা করেছিল। তবে পড়তে খুব ভালোবাসে। শুধু পাঠ্যবই নয়, পাঠ্য বইয়ের বাইরেও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসে সে। সে জানিয়েছে, আসলে বই পড়লে আরও বেশি করে পড়ার আগ্রহ বাড়ে।
রাহুল সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, আমার পড়াশোনা করতে ভালো লাগত। পাঠ্যপুস্তকের থেকে অন্য় বইও পড়তাম।আসলে জ্ঞান যত বাড়তে থাকে ততই ক্ষমতা বাড়তে থাকে। নির্দিষ্ট সময় ছিল না পড়ার। পড়তে খুব ভালো লাগত। আরও ভালো আশা করেছিলাম। কেন কম হল জানি না। তবে আমি উদ্যোগপতি হতে চাই। জানিয়েছেন রাহুল।
বরাবরই ক্লাসে ফার্স্ট হয়। ক্লাসে বরাবরের ভালো ছাত্র হিসাবে পরিচিত সে। পাঠ্য পুস্তকের বাইরেও নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসে। আসলে বইয়ের প্রতি তার অপার ভালোবাসা।
কেন সে উদ্যোগপতি হতে চায়?
রাহুল জানিয়েছে, দেশ ও রাজ্যের জন্য় নতুন কিছু করতে চায় সে।
তবে তার মায়ের ইচ্ছা সে যেন ডাক্তার হয়। তবে রাহুলের ইচ্ছেটা একেবারেই অন্য়রকম। সে চায় উদ্যোগপতি হতে। শিল্পউদ্যোগী। একেবারে অন্য় রাস্তায় হাঁটতে চায় রাহুল। তবে মায়ের এনিয়ে সামান্য আপত্তি থাকলেও ছেলের উচ্চাকাঙ্খায় বাধা দিতে চান না তিনি। কারণ ছেলের চলার পথে বরাবরের জন্য় পাশে থেকেছেন বাবা মা।
তার বাবা জানিয়েছেন স্যারদের অনেক ধন্যবাদ। ওর পরিশ্রম, আর আমরা সবসময় উৎসাহ দিতাম। ওর মার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হয় যেন ছেলে। তবে ছেলে যেটা চায় সেটাই যেন হয়। আপাতত ডেটা সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায়।
তার মা জানিয়েছে ছেলে যেটা হতে চায় সেটাই হোক। আমরা কোনও চাপ দেব না।
আসলে মাধ্য়মিকের ফলাফল বের হওয়ার পরে প্রতিবছরই দেখা যায় সিংহভাগ কৃতী ছাত্রছাত্রী চিকিৎসক হতে চায়। লক্ষ্য সেদিকেই স্থির করে তারা। তবে রাহুলের লক্ষ্য একেবারেই আলাদা। সে উদ্যোগপতি হতে চায়। শুধু নিজেকে নিয়ে নয়, দেশ ও রাজ্যের কথাও ভাবছে। এই ধরনের ভাবনা সচরাচর দেখা যায় না। সেদিক থেকে রাহুল একেবারেই অনন্য।