পহেলগাঁওতে একের পর এক নিরীহ পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর থেকে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। এর জেরে ক্রমশ চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। কিন্তু কারা ছিল এই হামলার নেপথ্য়ে? কারা সাধারণ পর্যটকদের হত্য়া করে এভাবে গা ঢাকা দিল?
ইতিমধ্য়েই এনিয়ে সরকারি এজেন্সির তরফে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এবার এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স( আইএসআই) ও জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তইবার একটা যোগসূত্র ছিল। সূত্রের খবর এমনটাই।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, এনআইএ সূত্রে খবর, আইএসআই-এর একাধিক লোকজনের নির্দেশে লস্কর এই ভয়াবহ ছক কষেছিল। পাকিস্তানে লস্করের সদর দফতরে এই ছক কষা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
দুজন জঙ্গিকে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। একজন হল হাসমি মুসি ওরফে সুলেমান। অপরজন হল আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই। তারা পাকিস্তানি নাগরিক বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ওভারগ্রাউন্ড কনটাক্ট হিসাবে কয়েকজন কাজ করেছিল। তাদের মধ্য়ে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আর তাদেরকে জেরা করে একের পর এক তথ্য় মিলেছে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান ভিত্তিত হ্যান্ডলাররা এই হামলার ঘটনায় কলকাঠি নেড়েছিল। কোন সময় হামলা চালাতে হবে, অস্ত্র, অন্যান্য রসদের ব্যাপারে তাদের মধ্য়ে কথাবার্তা হত।
এই হামলার অন্তত সপ্তাহখানেক আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল জঙ্গিরা। ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কার্সরা তাদের সহযোগিতা করছিল। তারা স্থানীয় স্তরে আশ্রয় দেওয়া, তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল।এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
ইতিমধ্য়েই এনআইএ টিম বিভিন্ন প্রমাণ জোগাড় করা শুরু করেছে। ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন তথ্য় জোগাড় করা হচ্ছে। যে জায়গায় হামলা হয়েছিল তার চারপাশে যে মোবাইল টাওয়ার রয়েছে সেখান থেকেও তথ্য় সংগ্রহ করা হচ্ছে। মূলত সেই সময় কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অন্তত তিনটি স্যাটেলাইট ফোন সেই সময় বৈসরন উপত্যকা এলাকায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তার মধ্যে দুটির সিগন্য়াল কার্যকরী ছিল। সেগুলিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
হামলার পরে অন্তত ২৮০০ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে এমন লোকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে।