স্মার্ট ফোন কিনে দিয়েছিলেন স্বামী। আর সেই ফোনের মাধ্য়মেই কোলাঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা এক বধূর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ঘাটালের এক যুবক। আলাপ থেকে প্রণয়। তবে মাস খানেকের মধ্য়েই সেই বধূকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। আর বধূও স্বামীকে ছেড়ে সেই যুবককে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে। সেই মতো ওই যুবকের সঙ্গে দেখা করার জন্য তারা দিঘায় চলে যান।
দুজনে ঠিক করেছিলেন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে বিয়ে করবেন তারা। সেই মতো যাবতীয় প্রস্তুতিও নিয়ে নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু দিঘায় যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে প্রেমিকের আসল রূপটা সামনে আসে। বিয়ে তো হলই না। সোনার গয়না, মোবাইল, নগদ যা ছিল সব নিয়ে চম্পট দেয় সেই প্রেমিক। সব মিলিয়ে ৬০ গ্রাম সোনার গয়না, ১০০ গ্রাম রুপোর গয়না, মোবাইল ফোন, নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবক।
এরপরই দিঘা পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই বধূ। তাদের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরে আসেন ওই বধূ। ওই যুবক হোটেলে যে আধারকার্ড জমা দিয়েছিল সেটা অনুসারে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক ঘাটালের বাসিন্দা। এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে ঘাটাল থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন ওই বধূ। সঙ্গে তার স্বামীও ছিলেন।
ওই বধূর ১০ বছরের পুত্র ও ৫ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বধূর স্বামী রাজস্থানের মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। স্ত্রীর সব আবদার মেনে নিতেন স্বামী। তারপরেও প্রেম। কিন্তু সেখানে গিয়েও ঠকলেন বধূ।