মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারল একটি গাড়ি। তার ফলে মৃত্যু হল একই পরিবারের দুজনের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ির অন্তর্গত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধানবাদগামী রাস্তায়। এছাড়াও, ওই পরিবারের চারজন মহিলা সহ মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাকে কেন্দ্রে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: পুণ্যার্থী বোঝাই গাড়িকে পিষে দিল লরি, মহাকুম্ভ থেকে ফেরার পথে একাধিক মৃত্যু
জানা গিয়েছে, পরিবারটি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা। ওই পরিবারের ৮ জন সদস্য চার চাকা গাড়িতে করে সেখান থেকে মহাকুম্ভে যোগ দিতে প্রয়াগরাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। তবে আসানসোলের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। দ্রুত গতিতে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। তারফলে দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ির সামনের অংশ। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ ও কুলটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ পৌঁছে যায়। তখন গাড়িতে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালে। মৃতদের নাম শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০) ও শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫)।
জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক সোমনাথ চক্রবর্তী এর আগেও দুবার গাড়ি চালিয়ে পূণ্যার্থীদের প্রয়াগরাজে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। তিনি জানান, জাতীয় সরকারের ওপর গাড়ির গতি সেই সময় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার ছিল প্রতি ঘণ্টায়। সামনের দিকে একটি লরিও যাচ্ছিল। সেই আচমকা লরিটি থেমে যায়। তখন পিছন দিক থেকে কোনও একটি গাড়ি ধাক্কা মারে। যার ফলে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। সৌরভ মুখোপাধ্যায় নামে আহত এক যাত্রী বলেন, ‘আমি গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তখন সজোরে ধাক্কা লাগার পর আমি গাড়ির মধ্যে ছিটকে যাই। আমি আমার ঘুম ভেঙে যায়। তখন দেখি আমার মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। আর বাকিরা আহত হয়েছে।’ এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন কুলটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস কে জাভেদ হুসেন। তিনি জানান, হতাহতদের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছে। গাড়ির সামনের বাঁদিকের অংশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।