বাঙালির আদি উৎসবগুলির মধ্যে অন্যতম হল অরন্ধন বা রান্নাপুজো। আজ অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এই অরন্ধনের অর্থ হল ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া। সাধারণত নিরামিষ পদ রান্না করা হয় অরন্ধন বা রান্নাপুজোয়। মরসুমের সেরা শাকসবজি এই দিন রান্না করা হয়।
মহালয়ার আগে বাঙালির বড় উৎসব
মনসাপুজোর দিনই অরন্ধন পালন করার রীতি রয়েছে বাংলায়। সাধারণত বছরে দুবার অরন্ধন পালন করা হয়ে থাকে। একবার বছরের ভাদ্রে রেঁধে আশ্বিনে খাওয়া। অন্যটি হল মাঘে সরস্বতী পুজোর পর শীতলষষ্ঠীর সময়। ভাদ্রের অরন্ধনের পর কিন্তু বাঙালির আর কোনও উৎসব হয় না। এর পরের উৎসব একেবারে মহালয়ার পর সুপর্বে। অরন্ধনের দুদিন বাড়িতে আগুন জ্বালানোর কোনও নিয়ম নেই। তাই আগের দিন রান্না করে পরদিন খাওয়া হয় এই খাবার।
আরও পড়ুন - ঠাকুর ঘরে ভুলেও করবেন না এই ৩ ভুল! আর্থিক লোকসান ছায়ার মতো লেগে থাকবে
অরন্ধনের মূল নিয়ম
অরন্ধন বা রান্নাপুজোর মূল নিয়ম হল আগের দিন রান্না করে রেখে দিতে হবে। খেতে হবে পরের দিন। এই খাবার ঠাণ্ডা খাওয়াই নিয়ম। এই দুদিন বাড়িতে আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ। মনসা পুজোরই অবিচ্ছেদ্য অংশ এই অরন্ধন।
অরন্ধনের কী কী রান্না করার নিয়ম
অরন্ধনে মূলত নিরামিষ পদই রান্না করা হয়। ছোলা-নারকেল দিয়ে কচুর শাক, তালের বড়া, কাঁকরোল, উচ্ছে ভাজা, বেগুন ভাজা, ঢেড়স ভাজা, আলু ভাজা, লাউয়ের ঘণ্ট, আমের চাটনি ইত্যাদি থাকে পাতে। তবে অনেকে আমিষ রান্নাপুজোও করে থাকেন। সেক্ষেত্রে মরসুমের সেরা মাছ, মাংস রাখা হয় পাতে। যেমন বেগুন ইলিশ, মাংস কষাও অনেকে রাখেন উপরের নিরামিষ পদগুলির পাশাপাশি।
আরও পড়ুন - সঙ্গী বুঝদার হবে না অবুঝ? আপনার প্রেমভাগ্য কেমন, বলে দেবে এই রেখার গড়ন
অরন্ধন কবে পালিত হচ্ছে এই বছর
সাধারণত বিশ্বকর্মা পুজোর আগে মনসাপুজোর দিনই শুরু হয় অরন্ধনের আয়োজন। এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো ১৭ সেপ্টেম্বর। অরন্ধন পালিত হবে ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার।