কার্তিক মাসের পূর্ণিমার দিনে গুরু নানকের জন্ম হয়েছিল। প্রতিবছর এই দিনটি নানক জয়ন্তী হিসেবে পালিত হয়। চলতি বছর ৩০ নভেম্বর পালিত হবে সিখ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব নানক জয়ন্তী। এটি গুরু পর্ব অথবা প্রকাশোৎসব নামেও পরিচিত। ১৪৬৯ সালে তালবন্ডী নামক স্থানে গুরু নানক জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে এটি পাকিস্তানে অবস্থিত ও নানকানা সাহিব হিসেবে পরিচিত। এখানে জানুন গুরু নানকের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি তথ্য ও তাঁর উপদেশ।সাংসারিক জগতের প্রতি উদাসীনতা ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন গুরু নানকের মধ্যে।পড়াশোনায় রুচি না-থাকার কারণে মাত্র ৭-৮ বছর বয়সে তিনি স্কুলে যাওয়া ছেড়ে দেন।ভগবত প্রাপ্তি সম্পর্কে নানকের প্রশ্নে তাঁর শিক্ষকরাও মাথা নত করেন। এর পর শিক্ষকরা তাঁকে সসম্মানে বাড়ি ছেড়ে যান।পড়াশোনা ছাড়ার পর গুরু নানক অধিকাংশ সময় আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা ও সৎসঙ্গে কাটাতে শুরু করেন।বাল্যকালে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনার কারণে গ্রামবাসী তাঁকে দৈব আত্মা মনে করতে শুরু করেন।গুরু নানকের বোন নানকী তাঁর প্রথম ভক্ত ছিলেন।গুরু নানকের শিক্ষা:গুরু নানকের মতে পরমপিতা পরমেশ্বর এক।সর্বদা এক ঈশ্বরেরই আরাধনা করা উচিত।সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই নিজের অন্ন সংস্থান করা উচিত।প্রত্যেকটি প্রাণী, প্রত্যেকটি স্থানে ঈশ্বর বিরাজ করেন।কারও সম্পর্কে কটূক্তি করবেন না ও কাউকে কষ্ট দেবেন না।অত্যধিক সাংসারিক মোহ রাখবেন না। যাতে ঈশ্বরকে স্মরণ করার সময়ও না-থাকে।লোভ থেকে দূরে থাকা উচিত।