সুখী দাম্পত্যের অনেকটাই লুকিয়ে থাকে দুজনের গৃহকোণে। আর বলাই বাহুল্য, সেটা বেডরুম। সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা হারিয়ে গিয়ে থাকলে তা ফেরাতে পারেন বেডরুমকে আরও আকর্ষণীয় ও সুন্দর করে তোলার মাধ্যমে। ফেং শুই চিনা বাস্তুশাস্ত্র। এখানে শোওয়ার ঘর সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস। এগুলি মেনে ঘর সাজাতে পারলে দাম্পত্যের মরা গাঙে বান আসবে সহজেই।
সুখী দাম্পত্যে জন্য কীভাবে সাজাবেন বেডরুম?
দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মনোযোগ দিন: ফেং শুই অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হলো ভালোবাসা এবং সম্পর্কের দিক। এই কোণটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর করে সাজান। এখানে গোলাপী বা লাল রঙের কোনো জিনিস রাখা শুভ।
আরও পড়ুন - সঙ্গীর জন্য জান দিতেও রাজি! ভালোবাসায় কখনও খাদ থাকে না এই ৫ রাশির
জোড়ায় জিনিসপত্র রাখুন: বেডরুমে সব জিনিস জোড়ায় জোড়ায় রাখুন। যেমন— দুটি বালিশ, দুটি নাইটস্ট্যান্ড, দুটি শো-পিস, বা দুটি লাভ বার্ডের মূর্তি। এটি সম্পর্ককে সুসংহত করতে সাহায্য করে।
বেডরুমকে পরিচ্ছন্ন রাখুন: বেডরুম যত পরিষ্কার থাকবে, ততই সেখানে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হবে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন— পুরনো কাগজপত্র, ভাঙা জিনিস, বা অতিরিক্ত আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলুন।
আয়না সঠিক জায়গায় রাখুন: বেডরুমে এমনভাবে আয়না রাখবেন না যাতে বিছানা তাতে সরাসরি দেখা যায়। এটি সম্পর্কের মধ্যে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব আনতে পারে বলে মনে করা হয়।
ইলেকট্রনিক্স দূরে রাখুন: বেডরুমে টিভি, কম্পিউটার, বা মোবাইল ফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে পারে।
গোলাপী ও লাল রঙ ব্যবহার করুন: গোলাপী ভালোবাসা এবং রোম্যান্সের প্রতীক। এই রঙটি আপনার বেডরুমের সাজসজ্জায় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন, যেমন— কুশন, চাদর, বা ছোটখাটো সজ্জার জিনিসে। লাল রঙ ভালোবাসার তীব্রতাকে বোঝায়, তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে, তাই লাল রঙের ব্যবহার সীমিত রাখুন।
আরও পড়ুন - পিতৃপক্ষে এই দিকে দীপ জ্বালালে তুষ্ট হন পূর্বপুরুষরা, সঙ্গে করুন এই কাজটিও
প্রাকৃতিক উপাদান যোগ করুন: ঘরে ইতিবাচক শক্তি আনতে কাঠ বা মাটির তৈরি জিনিস ব্যবহার করতে পারেন। হালকা কাঠের আসবাবপত্র অথবা মাটির পাত্র সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। জ্যোতিষশাস্ত্র সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার জ্যোতিষীর সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।