মহালয়া পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের সংযোগকাল। এই সময়টি একদিকে যেমন পিতৃপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো রীতি, তেমনই অন্যদিকে দেবী দুর্গার আগমনের প্রস্তুতি পর্ব। তাই, বাস্তু মেনে মহালয়ার আগে কিছু কাজ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই কাজগুলো ঘরে ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে এবং আসন্ন উৎসবের জন্য পরিবেশকে পবিত্র করে তোলে।
মহালয়ার আগে যা যা করা বাঞ্ছনীয়
১. ঘর পরিষ্কার এবং অবাঞ্ছিত জিনিসপত্র দূর করুন - মহালয়ার আগে পুরো বাড়ি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। প্রতিটি কোণ থেকে জমে থাকা ধুলো, ঝুল ও ময়লা দূর করুন। পুরনো বা অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যা আপনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করেননি, তা ফেলে দিন বা দান করে দিন। বাস্তু মতে, জমে থাকা জিনিস নেতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। পুরনো জিনিস অপসারণ করে নতুন শক্তির জন্য জায়গা তৈরি করুন।
আরও পড়ুন - সঙ্গী বুঝদার হবে না অবুঝ? আপনার প্রেমভাগ্য কেমন, বলে দেবে এই রেখার গড়ন
২. ঠাকুর ঘর বা পুজোর স্থান পরিষ্কার ও সাজসজ্জা - বাড়ির পুজোর স্থানটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মহালয়ার আগে এই স্থানটি সম্পূর্ণ পরিষ্কার করুন। দেব-দেবীর মূর্তি ও ছবি ভালোভাবে মুছে নিন। পুজোর স্থানে নতুন পর্দা বা কাপড় লাগান। যদি সম্ভব হয়, পুজোর স্থানটি বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে (ঈশান কোণ) স্থাপন করুন, কারণ এই দিকটি দেব-দেবীর জন্য অত্যন্ত শুভ।
৩. মূল প্রবেশদ্বার সাজানো - বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারটি সৌভাগ্যের প্রবেশদ্বার। মহালয়ার আগে প্রবেশদ্বারটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে সাজিয়ে নিন। আম পাতা এবং অশোক পাতার মালা তৈরি করে দরজায় লাগান। এটি শুভ শক্তিকে স্বাগত জানায় এবং নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখে। প্রবেশদ্বারের সামনে একটি ছোট রঙোলি তৈরি করাও খুব শুভ বলে মনে করা হয়।
৪. আলোকসজ্জা - আলো নেতিবাচক শক্তি দূর করে। মহালয়ার আগে থেকেই বাড়ির চারপাশে, বিশেষ করে প্রবেশদ্বারে এবং মন্দিরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুন। প্রদীপ, মোমবাতি বা অন্য কোনো আলোকসজ্জার মাধ্যমে ঘরকে আলোকিত রাখুন।
আরও পড়ুন - বিবাহিত জীবনে তিক্ততাই বেশি? ফেং শুই ফিরিয়ে আনবে প্রথম প্রেমের মাধুর্য
৫. গাছপালা পরিষ্কার এবং নতুন গাছ লাগানো - বাড়ির আশেপাশে এবং ভেতরে থাকা গাছপালা পরিষ্কার করুন। শুকিয়ে যাওয়া পাতা বা ডালপালা কেটে ফেলুন। সম্ভব হলে নতুন কিছু শুভ গাছ, যেমন তুলসী বা মানি প্ল্যান্ট, ঘরে লাগাতে পারেন।