হিন্দু ধর্মে পুজোর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। পুজোয় অনেক জিনিস ব্যবহার করা হয় যেমন-কুমকুম, কর্পূর, গঙ্গাজল এবং ফুল।কর্পূর এবং লবঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে ঘরে নিয়মিত কর্পূর জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কর্পূর এবং লবঙ্গ একসঙ্গে পোড়ানোর রীতিও অনেক পুরনো। অনেকেই তাদের বাড়িতে এটা পুড়িয়ে থাকেন যাতে যে কোনও খারাপ নজর এড়ানো যায়, কিন্তু আপনি কি এটা পোড়ানোর সঠিক সময় জানেন? দেখে নিন।
আরও পড়ুন: স্নানের পর করুন এই কাজ, ঘরের মধ্যে কমবে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব
লবঙ্গ এবং কর্পূর কখন পোড়াবেন?
মানা হয় যে, বাড়িতে সন্ধ্যার পুজোর পর লবঙ্গ এবং কর্পূর পোড়ানো শুভ। এর ধোঁয়া সারা বাড়িতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এতে বাড়ি এবং বাড়ির মধ্যে থাকা সকলের উপরে থাকা সমস্ত খারাপ প্রভাব, নজর কেটে যাবে। এছাড়াও, এই প্রক্রিয়া করলে ঘরে সমৃদ্ধি ও অর্থ আসতে পারে। কর্পূর এবং লবঙ্গ পোড়ানোর পরে প্রদীপটি কিছুক্ষণের জন্য ঘরের একটি কোণে রাখতে হবে।
লবঙ্গ দিয়ে আরতিও করা যেতে পারে। মাটির প্রদীপ দিয়ে আরতি করলে তাতে লবঙ্গ রাখতে পারেন। এটিকে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।সকালে এই আরতি করলে ঘরের প্রতিটি কোণ পবিত্র হয়। সর্বত্র কেবল ইতিবাচক শক্তি অনুভূত হয়। সন্ধ্যায় এই আরতি করলে সকলে সকল ধরণের রোগের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেন।
আরও পড়ুন: গর্ভের সন্তান ও হবু মা দুজনেই থাকবে সুস্থ, কুনজর থেকে বাঁচাবে এই বাস্তু টিপস
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, আরতির জন্য ৬ থেকে ৮টি লবঙ্গ ব্যবহার করা উচিত। অনেকেই গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বাড়িতে ভগবান গণেশের মূর্তি স্থাপন করেছেন। তাঁরা নৈবেদ্যতে পানের সঙ্গে লবঙ্গ, সুপারি এবং এলাচ রাখতে পারেন। এটিও খুব শুভ বলে মনে করা হয়। বিসর্জনের আগে যে কোনও সময় এই প্রতিকার করলে ভালো ফল পেতে পারেন। এই প্রতিকারের ফলে সমস্ত আটকে থাকা কাজ শেষ হতে পারে।
দাবিত্যাগ- হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা দাবি করে না যে, এই নিবন্ধে প্রদত্ত তথ্য সম্পূর্ণ রূপে নির্ভুল। বিস্তারিত এবং আরও তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।