ফাইল ছবি: রয়টার্স
এবার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের ব্লু-টিকের জন্যও দিতে হবে সাবস্ক্রিপশন চার্জ। অনেকটা টুইটারের মতোই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এর আগেই ব্লু-টিক ভেরিফিকেশন চালু করেছিল Meta। আর এবার সেটাই চালু হল ভারতেও। আরও পড়ুন: ভারতীয় সামরিক অফিসারদের নিশানা বানানো পাক হ্যাকারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ফেসবুকের
ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাইরেও মেটা-র আয়ের উত্স আরও বৈচিত্র্যময় করাই এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য। এমনিতেই ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং Apple-এর iOS প্রাইভেসি নীতির পরিবর্তনের কারণে Meta-র আয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আর সেই কারণেই নতুন নতুন আয়ের পথ খুঁজছে তারা। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের আয়ের উপরে তারা আর নির্ভর করে থাকতে চাইছে না।
প্রাথমিকভাবে, এই প্রোগ্রামে আরও বেশি মাসিক ফি স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু পরে মেটা অ্যান্ড্রয়েড এবং iOS-এর জন্য প্রতি মাসে যথাক্রমে ৬৯৯ টাকা এবং ওয়েবে ৫৯৯ টাকা ফি স্থির করা হয়। টুইটারের 'ব্লু' নামক সাবস্ক্রিপশন পরিষেবা চালুর পরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু এবার সেই পথেই হাঁটল মেটা-ও। তবে কি ইলন মাস্কের দেখানো পথেই হাঁটছে সকলে।
ভেরিফাইড ব্যবহারকারীদের একটি যাচাইকরণের ব্যাজ, অ্যাকাউন্টের সুরক্ষা এবং অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট অ্যাক্সেস-সহ বেশ কয়েকটি ফিচার মিলবে। এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের একটি সরকারি আইডি দিতে হবে। Instagram এবং Facebook উভয় অ্যাকাউন্টের জন্যই এটি প্রযোজ্য। অ্যাকাউন্ট সাপোর্ট বর্তমানে শুধুমাত্র ইংরেজিতেই মেলে। মেটা ভবিষ্যতে এটি হিন্দিতেও প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছে। আপাতত এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার জন্য ওয়েটিং লিস্ট জারি করা হয়েছে।
তবে টুইটারের মতো অতটা বেশি বদল আনছে না মেটা। নির্দিষ্ট মানদণ্ড পূরণ করছে, এমন অ্যাকাউন্টের বিদ্যমান লিগ্যাসি ব্যাজ বজায় রাখা হবে। মেটা জানিয়েছে, একাধিক দেশে প্রাথমিক পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল মেলার পর ভারতেও এটি চালু করা হল।
এর জন্য, ব্যবহারকারীদের অবশ্যই ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে। একটি সরকারি আইডি জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে ভেরিফিকেশনের জন্য একটি সেলফি ভিডিয়োও দিতে হবে। আরও পড়ুন: নিলামে P7 নম্বরপ্লেটের দাম উঠল ১২২.৬ কোটি টাকা! কী এমন স্পেশাল ব্যাপার আছে?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক