ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৯ রান তোলে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। জবাবে ১৭.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় গুজরাট টাইটানস।
সুয়াশ শর্মার সেই ক্যাচ ফস্কানো। (ছবি সৌজন্যে এপি)
প্রথম লেগে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ডানা কেটে দিল গুজরাট টাইটানস। কেন গুজরাট চ্যাম্পিয়ন দল এবং কেন কেকেআর ধুঁকছে, সেই প্রমাণ দিল। গুজরাট তো ভালো খেললই, সেইসঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়াদের কাজটা আরও সহজ করে দিল কেকেআর। আজ ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৯ রান তোলেন নীতীশ রানারা। জবাবে ১৭.৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন হার্দিকরা। কোন কোন কারণে কেকেআর হারল, তা দেখে নিন -
জগদীশানকে কেন দলে?
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং গুজরাটের বিরুদ্ধে কেকেআরের বিদেশি ওপেনাররা ভালো করছে কিন্তু সবকিছু নষ্ট করে দিচ্ছেন নারায়ণ জগদীশান। গোড়ার দিকে স্ট্রাইক নিচ্ছেন। আর অসংখ্য বল নষ্ট করছেন। আজ ২.৫ ওভারে যখন জগদীশান আউট হন, তখন তিনি একাই ১৫ টি বল খেলে ফেলেছেন। যে রহমানউল্লাহ গুরবাজ মেরে খেলছিলেন (নিদেনপক্ষে চেষ্টা করছিলেন), তিনি মাত্র দুটি বল খেলেছিলেন। ১৫ বলে ১৯ রান করেন। আর আজ শুধু একটি ম্যাচ নয়, প্রতিটি ম্যাচেই একইভাবে ঝোলাচ্ছেন জগদীশান।
প্রথম ছয় ওভারে ৬১ রান তোলার পর মাঝের ১০ ওভারে হামাগুড়ি দিল কেকেআর। ওই ১০ ওভারে মাত্র ৭৩ রান ওঠে। সেটাই কেকেআরের জয়ের আশা শেষ করে দেয়। আগের ম্যাচেও সেই 'রোগ' ছিল। আজও অন্যথা হল না। একটা সময় তো ১৮ বলে (৭.২ ওভার থেকে ১০.২ ওভার) বাউন্ডারির মুখ দেখতে পারেনি কেকেআর। সেই কারণেই ভালো পিচে ১৭৯ রানের বেশি তুলতে পারল না। এমনকী আন্দ্রে রাসেলও স্বীকার করে নিলেন যে কেকেআর ১৫-২০ রান কম তুলেছে।
বড় রান দরকার। বল নষ্টের প্রদর্শনী খেলেছেন জগদীশান। তারপর তিনে পাঠানো হল শার্দুল ঠাকুরকে। যেটার কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ওই একটি ইনিংসের জন্য শার্দুলকে যে কতদিন ‘পুরস্কার’ দেওয়া হবে, সেটা সম্ভবত শুধুমাত্র কেকেআরের ম্যানেজমেন্ট বলতে পারবে।
বাজে ক্যাচ ফস্কানো সুয়াশের
১৫.১ ওভার, জয়ের জন্য ৫১ রান চাই গুজরাটের, উইকেটের জন্য বল করতে এসেই ডেভিড মিলারকে প্রায় প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন রাসেল। কিন্তু একেবারে সহজ ক্যাচ ফস্কে দেন সুয়াশ শর্মা। বলের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি। সেটাই কেকেআরের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। আর সেই উপহারের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন মিলাররা। ওই ক্যাচটা যদি সুয়াশ ধরতে পারতেন, ম্যাচটাই ঘুরে যেতে পারত।
বাজে ব্যাটিং সত্ত্বেও বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। একটা সময় ৩৭ বলে ৭৩ রান দরকার গুজরাটের। যা ২৪ বলেই তুলে নিলেন ডেভিড মিলার, বিজয় শংকররা। ১৬ তম ওভারে সুয়াশ দিলেন ১৮ রান। ১৮ তম ওভারে বরুণ চক্রবর্তী দিলেন ২৪ রান। সেখানেই ম্যাচে ইতি পড়ে যায়। আর গোড়ার দিকে তো উইকেট নেওয়ার কোনও বালাই তেমন নেই কেকেআরের।
(IPL 2023: আইপিএল সংক্রান্ত যাবতীয় টাটকা খবর ও আপডেটের জন্য হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার স্পেশাল পেজে - ক্লিক করুন এখানে, তাহলেই প্রবেশ করবেন আইপিএলের দুনিয়ায়)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।