IPL ফাইনালের আগেই পাকিস্তান সফর, জট বাড়ল মর্গ্যানদের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিয়ে

আসন্ন আইপিএলে ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে এক সময় বিশাল সমস্যার সৃষ্টি হলেও ইয়ন মর্গ্যানদের বাংলাদেশ সফর বাতিল হওয়ায় আশার আলো দেখা গিয়েছিল। তবে ফের আরেক সমস্যার উদয়। আইপিএল শেষ হওয়ার আগেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ড দলের এবং ইসিবি ভারত ও পাকিস্তান, উভয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেই নিজেদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে তৎপর এবং দুই জায়গায়ই নিজেদের ক্রিকেটারদের পাঠানোর জন্য সচেষ্ট।পিসিবির এক আধিকারিক Cricbuzz-কে জানান, ‘ইংল্যান্ডের পুরুষ এবং মহিলা, উভয় দলই পাকিস্তানে আসবে। একই দিনে দুটি করে টি-টোয়েন্টি খেলা হবে এবং তারপরেই ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তান দল বিশ্বকাপ খেলতে দুবাই রওনা দেবেন। তবে ইংল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেট দল ওয়ান ডে সিরিজের জন্য থেকে যাবেন।’তবে অপরদিকে চেন্নাই সুপার কিংস সহ সিইও কাশি বিশ্বনাথনসহ আরেক ফ্রাঞ্চাইজির সদস্যও জানান ইংলিশ ক্রিকেটাররা টুর্নামেন্টের শেষ অবধি দলের সঙ্গে থাকবেন। এর ফলেই শুরু হয়েছে গন্ডগোল ও বিভ্রান্তি। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের দিনক্ষণ ও জায়গাও সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। ১৩ ও ১৪ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডিতে দুটি বিশ ওভারের ম্যাচ হওয়ার কথা। অপরদিকে, আইপিএলে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৫ অক্টোবর। তাই প্লে অফ খেলা কোন দলের ইংলিশ ক্রিকেটাররাই দুই জায়গায় খেলতে পারবেন না। ইসিবি প্রধান টম হ্যারিসন আইপিএলে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ সম্পর্কে জানান, ‘আইপিএলের বিষয়ে আমরা আমাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলব। বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যাওয়ায় ইংলিশ ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখেই ক্রিকেটাররা নিজেদের সূচি ম্যানেজ করবেন। এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে এবং খেলোয়াড়রদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হবে।’অপরদিকে পাকিস্তান সিরিজও খেলার সম্মতি দিয়েছেন তিনি। ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যেতে সম্পূর্ণ আগ্রহী। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম ইংল্য়ান্ড পাকিস্তান সফরে যাবে এবং এটা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। আইসিসির পূর্ণ সদস্য অপর একটি দলকে আমরা সাহায্য করতে চাই।’ জানান হ্যারিসন। এর দরুণ একই রিপোর্টে জানানো হয় অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যানকে হয়তো ৯ অক্টোবর আইপিএল প্লে অফের আগেই জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হতে পারে। যদিও সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোন মন্তব্য এখনও করা হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডের মতোই একই পন্থা গ্রহণ করে ইসিবিও দুই বোর্ডের কাছেই নিজেদের দেওয়া কথা রাখতে পারবে।